|
---|
নিউজডেস্ক, নতুন গতি :
মে মাসে ভারতে লোকসভা নির্বাচনের আগে ভারতে সাম্প্রদায়িক দাঙ্গার সম্ভাবনা বেশ প্রবল। বিজেপি হিন্দুত্বের ধোয়া তুলে ভোট পাওয়ার নীতি ধরে রাখলে আরও বাড়বে দাঙ্গার আশঙ্কা। মার্কিন গুপ্তচর বাহিনীর প্রধান অর্থাৎ ডিরেক্টর অব ন্যাশনাল ইন্টেলিজেন্স, ড্যান কোটস এই রিপোর্ট জমা দিলেন মার্কিন আইনসভার প্রভাবশালী সেনেট সিলেক্ট কমিটিকে।
আমেরিকার ডিরেক্টর অব ন্যাশনাল ইন্টেলিজেন্স, ড্যান কোটস এই রিপোর্ট জমা দিয়েছেন মার্কিন আইনসভার প্রভাবশালী সেনেট সিলেক্ট কমিটিকে। সেখানে স্পষ্ট করে বলা হয়েছে, ‘প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী এবং ভারতীয় জনতা পার্টি হিন্দু ভাবাবেগকে ব্যবহার করার চেষ্টা করলে আগামী লোকসভা নির্বাচনের আগে ভারতে বাড়বে সাম্প্রদায়িক দাঙ্গার ঘটনা।’ সারা পৃথিবীর বিপদ নিয়ে এই রিপোর্ট পেশের আগে এফবিআই, সিআইএ এবং মার্কিন প্রতিরক্ষা বিভাগের গোয়েন্দা প্রধানও উপস্থিত ছিলেন মার্কিন কংগ্রেসের সেনেট সিলেক্ট কমিটির সামনে।
মার্কিন গুপ্তচরদের রিপোর্টে বলা হয়েছে, ‘হিন্দুত্ববাদী নীতি নেওয়ার কারণে বিজেপি শাসিত রাজ্যগুলিতে ইতোমধ্যেই সাম্প্রদায়িক বিভেদ মাথা চাড়া দিয়েছে। আগামী নির্বাচনে বিজেপি শীর্ষ নেতৃত্ব ফের হিন্দুত্ববাদী রাস্তায় হাঁটলে নিচুতলার কর্মীরা সাম্প্রদায়িক ঘটনা ঘটাতে উৎসাহ পাবেন। সে ক্ষেত্রে নিশ্চিত ভাবেই বাড়বে হিংসার ঘটনা।’
২০১৯ সালে সারা পৃথিবীর কোথায় বিপদ লুকিয়ে আছে, তা নিয়েই এই রিপোর্ট বানিয়েছে বিভিন্ন মার্কিন গুপ্তচর সংস্থা। সেখানেই উঠে এসেছে ভারতের প্রসঙ্গ। সেই রিপোর্টেই সাধারণ নির্বাচনের আগে মে মাস পর্যন্ত ভারতের পরিস্থিতি নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন মার্কিন গুপ্তচরেরা। তারা সতর্কতা জানিয়ে বলেন, ‘সাম্প্রদায়িক দাঙ্গার ঘটনা বাড়লে আরও বিচ্ছিন্ন হয়ে পড়বে দেশের মুসলিম সম্প্রদায়। সেই সুযোগ নিয়ে মুসলিম সমাজে প্রভাব বাড়াবে বিভিন্ন জঙ্গিগোষ্ঠীও।’
নির্বাচনের পাশাপাশি ভারত-পাকিস্তান সম্পর্ক নিয়েও উদ্বেগ জানিয়েছে আমেরিকা। আগামী মে মাস পর্যন্ত এই সম্পর্ক একদম তলানিতে পৌঁছবে বলেই আশঙ্কা মার্কিন গুপ্তচরদের। তাদের দাবি, ‘সীমান্ত সন্ত্রাস, নিয়ন্ত্রণরেখায় গোলাগুলি, ভারতের নির্বাচন এবং আমেরিকার সঙ্গে ভারতের সম্পর্ক নিয়ে পাকিস্তানের আশঙ্কার কারণে মে মাস পর্যন্ত ভারত-পাকিস্তান সম্পর্কে উত্তেজনা থাকবে।’ এই মুহূর্তে দুই দেশই অত্যন্ত অনড় অবস্থায় আছে এবং মে মাস পর্যন্ত শান্তিপ্রক্রিয়া শুরু হওয়ার সম্ভাবনা খুবই কম বলে উদ্বেগ জানিয়েছেন মার্কিন গোয়েন্দারা।
উল্লেখ্য, কিছুদিন আগেই মার্কিন গুপ্তচর সংস্থা সিআইএ-এর প্রধান জিনা হ্যাসপেল ভারত সফর করে গিয়েছেন। ফলে আমেরিকার সমস্ত গোয়েন্দা সংস্থার তত্ত্বাবধানে তৈরি এই রিপোর্ট ভারতের জন্য অত্যন্ত উদ্বেগজনক বলেই মনে করছে আন্তর্জাতিক মহল। সূত্র: টিওআই।