গঙ্গানদীর দূষণ প্রতিরোধে ছয় হাজার কিলোমিটার যাত্রা পথে মালদার পঞ্চানন্দপুরে রাজকীয় সংবর্ধনা

নতুন গতি ওয়েব ডেস্ক: গঙ্গানদীর দূষণ প্রতিরোধে ছয় হাজার কিলোমিটার যাত্রা পথে মালদার পঞ্চানন্দপুরে রাজকীয় সংবর্ধনা প্রতিনিধিদলকে, গঙ্গার বিভিন্ন বিষয়ে আলোচনা করল সংস্লিষ্ট ভুক্তভোগীরা। গঙ্গার দূষন একটা বড় সমস্যা। গঙ্গা দূষণ প্রতিরোধে বেশকিছুদিন ধরে গঙ্গা নদীর উৎস থেকে ছয় হাজার কিলোমিটার নদীর পাড় বরাবর যাত্রা শুরু করেছে এক কেন্দ্রীয় স্বেচ্ছাসেবী সংস্থা। এই স্বেচ্ছাসেবী সংস্থার ২৫ জনের দলটি বিভিন্ন এলাকার পর মালদা জেলার মানিকচকে পৌঁছায়। শুক্রবার পঞ্চনন্দপুরের গঙ্গার ঘাটে এসে পৌঁছায়। এদিন গঙ্গার ঘাটে এই প্রতিনিধি দলকে সংবর্ধনা জানায় বাঙ্গিটোলা ও পঞ্চানন্দপুর এলাকার পঞ্চায়েতের প্রধান সদস্যরা। ছুটে আসেন বিধায়ক সাবিনা ইয়াসমিন, পঞ্চায়েত সমিতির সভাপতি টিংকুর রহমান বিশ্বাস, শিক্ষা কর্মাধ্যক্ষ আবদুল মজিদ, প্রমুখ। এছাড়া ও পাশাপাশি এদিন গঙ্গা ভাঙ্গন নাগরিক একশন কমিটির তরফে সংস্থার আগত সদস্যদের জমকালো সংবর্ধনার দেওয়া হয় নয়াবাজার হাইস্কুলে। সেখানে এক কনভেনশনের আয়োজন করা হয়। এই কনভেনশনে আগত নদী দূষণ প্রতিরোধ কমিটির সদস্য, গঙ্গার ভাঙ্গনে ক্ষতিগ্রস্ত মানুষ, গঙ্গা ভাঙ্গন নাগরিক প্রতিরোধ একশন কমিটির সদস্য সহ অনেকে ছিলেন। সভায় গঙ্গা ভাঙ্গন, প্রতিরোধ, দূষণ বিভিন্ন বিষয়ে আলোচনা ও মতবিনিময় হয়। এছাড়াও এই স্বেচ্ছাসেবী সংস্থার সদস্যরা নদীপাড়ের সাধারণ মানুষকে নদী দূষণ সম্পর্কে সচেতনামূলক কর্মসূচি নিয়েছে তা তুলে ধরেন। দলে রয়েছে ২৫ জন। গঙ্গার নদীর সফর দলে ছিলেন গোপাল শার্মা, কর্নেল মেজর কেওয়ার, কর্নেল আরপি পানসি, কর্নেল রোহিত আমরাও, হেম লহু মি, রোহিত হাট, হিরেন প্যাটেল প্রমুখ । নদী দূষণ কমিটির সদস্য করলেন মেজর কেওয়ার, জানিয়েছেন, গঙ্গা নদীর দূষণ সবচেয়ে বেশি। আমরা গঙ্গা নদীর দূষণ প্রতিরোধের জন্য গতো বছর ১৫ ফেব্রুয়ারি থেকে নদী পথে যাত্রা শুরু করেছি। নদীর উৎস স্থল থেকে এই যাত্রা শুরু হয়েছে। আমরা বৃহস্পতিবার মালদা জেলায় এসে পৌঁছেছি। দুদিন এই মালদা জেলায় আছি। এখানকার নদী পর্যবেক্ষণের পাশাপাশি আমরা গঙ্গা পাড়ের মানুষ জন এর সঙ্গে কথা বলে এখানকার ভাঙ্গন সমস্যা ও সমস্যা সবকিছু উপলব্ধির চেষ্টা করছি। এছাড়াও আমাদের যাত্রা পথে নদীপাড়ের একাধিক গ্রামে নদী দূষণ সম্পর্কে স মানুষকে সচেতন করার চেষ্টা করছি। আমরা আগামী ১০ বছর ধরে এই নদী দূষণ নিয়ে কাজ করব। গঙ্গা নদী সামগ্রিক দূষণ প্রতিরোধ এবং অন্যদিকে গঙ্গার প্রবাহে গতি আনতে আগামী দিনে কেন্দ্র সরকারের নিকটে একটি রিপোর্ট দেব।

    গঙ্গার ভাঙনে ভুক্তভোগী শিক্ষা কর্মাধ্যক্ষ আবদুল মজিদ বললেন, গঙ্গার দূষন ও বিভিন্ন সমস্যা নিয়ে আলোকপাত করেন প্রতিনিধি দলের সামনে। তিনি চান গঙ্গার সমস্যার সমাধান হোক। গঙ্গা ভাঙ্গন নাগরিক প্রতিরোধ একশন কমিটির দুই কর্ণধার তরিকুল ইসলাম জানিয়েছেন, ১৫ ফেব্রুয়ারি গঙ্গোত্রী থেকে শুরু হয়েছে তাদের যাত্রা। গঙ্গার উপর দিয়ে ৬০০০ কিলোমিটার ভ্রমণ করছেন। গঙ্গা নদীর দূষণ হচ্ছে সেই দূষণ নিয়ে এই দল দীর্ঘদিন ধরে কাজ করছে। আমাদের মালদা জেলার গঙ্গার ভাঙনের সমস্যাটি তাদের কাছে তুলে ধরেছি। নদী ভ্রমণকারীদের কাছে অনুরোধ করেছি রিপোর্টে যেন মালদার ভয়াবহ ভাঙ্গন সমস্যাটি প্রতিফলিত হয়।