আজ শুক্রবার, জল বাঁচান, জীবন বাঁচান, সেভ ওয়াটার ডে.. পালন করা হবে।

নিজস্ব সংবাদদাতা নতুন গতিঃ   আজ দুপুর ৩টের সময় জোড়াসাঁকো থেকে
গান্ধীমূর্তি পর্যন্ত পদযাত্রা করবেন,
জল ধরো জল ভরো ‘র রূপকথার মাননীয়া
মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।

    কলকাতা সহ ১৫ পুরসভায় ‘জল ধরো জল ভরো’।
    নগরোন্নয়নেও এবার গুরুত্ব পাচ্ছে মুখ্যমন্ত্রীর স্বপ্নের ‘জল ধরো জল ভরো” প্রকল্প। বিধানসভায় পুর দপ্তরের বাজেট আলোচনায় পুরমন্ত্রী বলেন, কলকাতা-সহ ১৫ পুরসভায় শুরু হবে এই “জল ধরো জল ভরো”।

    পুরমন্ত্রী বলেন, “চেন্নাই-সহ অন্যান্য শহরের হাল দেখে শিক্ষা নেওয়া উচিত। জল-সঙ্কট যেদিকে এগোচ্ছে, তাতে এ ছাড়া আর কোনও উপায় নেই। আগামী অর্থ বছরের মধ্যেই এ কাজ শুরুর পরিকল্পনা নিয়েছি।“ সাধারণ মানুষের কাছেও তাঁর আবেদন, ভবিষ্যতের কথা ভেবে এখনই দলমত নির্বিশেষে সবাই সচেষ্ট হোন। এদিকে, শহরে এবার “কার ওয়াশিং জোন’ তৈরীর পরিকল্পনা নিয়েছে কলকাতা পুরসভা। বৃষ্টির জল ও অপরিস্রুত জল সংরক্ষণ করে তৈরী করা হবে গাড়ি ধোয়ার জায়গা। কলকাতা পুরসভাতেও এ কথা জানিয়েছেন মহানাগরিক। তিনি বলেন, “এই শহরে এখনও পরিস্রত পানীয় জল দিয়ে গাড়ি ধোয়া হয়। গাড়িটা অপরিস্রুত জল দিয়েও ধোওয়া যায়।

    পুরসভা বৃষ্টির জল, অপরিস্রুত জল সংরক্ষণ করবে। যাতে সেই জল গাছে দেওয়া, গাড়ি ধোয়ার কাজে ব্যবহার করা যায়। এর জন্য শহরে আলাদা আলাদা জায়গা তৈরী করবে কলকাতা পুরসভা। আবাসনগুলির কাছে আবেদন, বৃষ্টির জল সংরক্ষণ করুন। কলকাতাকে চেন্নাই হতে দেব না।”

    পুরমন্ত্রী বলেন, “ইতিমধ্যে ১৫ পুরসভায় ডক্লবিসিএস অফিসারকে দায়িত্বে বসিয়েছি। অফিসার কম। অন্যত্রও বসবে। ৯০ পুরসভায় সরকার ফিনানসিয়াল অফিসার নিয়োগ করেছে। সর্বত্র এটা হবে। হবে, স্কছতা ও প্রশাসনিক সংস্কারের জন্য৷” পুরুলিয়ার সাহেববাঁধের উল্লেখ করে মন্ত্রী বলেন, এমন ১০২টি জলাধার হাতে নিয়েছে পুর দপ্তর, যার সংস্কার করা হবে। ৪২১টি পার্ক তৈরী করা হয়েছে।