পুটিয়ারি ব্রজমোহন তেওয়ারি ইনিস্টিটিউশনে সনাতনী স্কুল অফ ল্যাঙ্গুয়েজ, তালীম অ্যাকাডেমি এবং দ্য ব্রিটিশ ইনস্টিটিউটস্ এর যৌথ উদ্যোগে শুরু হলো ভাষা শিক্ষার প্রসার

বাইজিদ মণ্ডল কলকাতা:-সনাতনী স্কুল অফ ল্যাঙ্গুয়েজ “তালীম মিউজিক অ্যাকাডেমি” এবং “দ্য ব্রিটিশ ইনস্টিটিউটস্” এর যৌথ প্রয়াসে কলকাতা করপোরেশন ১১৫ নম্বর ওয়ার্ড স্থিত “পুটিয়ারি ব্রজমোহন তেওয়ারি ইনস্টিটিউশনে” এবং সুখরঞ্জন বিদ্যামন্দিরে শুরু হলো ভাষা শিক্ষা প্রসার অভিযান। সনাতনী স্কুল অফ ল্যাঙ্গুয়েজ, তালীম অ্যাকাডেমি এবং দ্য ব্রিটিশ ইনস্টিটিউটস্ এই তিনটি বিখ্যাত অর্গানাইজেশন নিয়ে গঠিত যৌথ মঞ্চের চেয়ারম্যান শ্রী চন্দ্রচূড় গোস্বামীর উদ্যোগে এবং ১১৫ নম্বর ওয়ার্ডের পৌর প্রতিনিধি এবং ১৩ নম্বর বোরো চেয়ারপার্সন রত্না শুর এর প্রত্যক্ষ সহযোগিতায় ব্রজমোহন তেওয়ারি স্কুলে এক বর্ণাঢ্য উদ্বোধনী অনুষ্ঠান আয়োজন করা হয়েছিল। রত্না শুর এর কর্ণধার চন্দ্রচূড় গোস্বামীর এই অভিনব উদ্যোগকে স্বাগত জানিয়ে সমস্ত প্রকার সহযোগিতা করার প্রতিশ্রুতি দেন। তিনি আরো বলেন দেশে ও বিদেশে চাকুরী জীবনে এবং বাণিজ্যিক ক্ষেত্রে সাফল্যের জন্যেও বিভিন্ন ভাষার শিক্ষা ও চর্চা বিশেষ গুরুত্বপূর্ণ। সনাতনী স্কুল অফ ল্যাঙ্গুয়েজ এবং দ্য ব্রিটিশ ইনস্টিটিউটস্ দক্ষিণ কলকাতা শাখা ও বিরা শাখার কর্ণধার চন্দ্রচূড় গোস্বামীর বক্তব্য ভাষা যাতে মনের ভাব প্রকাশের অন্তরায় না হয় সেই জন্যই “সনাতনী স্কুল অফ ল্যাঙ্গুয়েজ” একদিকে যেমন সংস্কৃত, বাংলা ও হিন্দি ভাষা শেখাবে,”দ্য ব্রিটিশ ইনস্টিটিউটস্” স্পোকেন ইংলিশ, বিভিন্ন বিদেশী ভাষা ও কম্পিউটার শেখাবে সেই রকমই তালীম মিউজিক অ্যাকাডেমি এই কর্মব্যস্ত পৃথিবীতে সঙ্গীত শিক্ষাদান ও মিউজিক থেরাপির মাধ্যমে মানুষের স্নায়ুর চাপ কমিয়ে শারীরিক ও মানসিক ভাবে সুস্থ রাখবে। ব্রজমোহন তেওয়ারি স্কুলের প্রধান শিক্ষক তমাল কৃষ্ণ কর এই অভিনব উদ্যোগকে সাধুবাদ জানিয়ে ভাষার বিবর্তন ও প্রবাহমানতার দিকটি তুলে ধরেন। অনুষ্ঠানে বাংলার কৃতী ব্যাডমিন্টন খেলোয়ার কানিষ্কা বিজরানিয়া ও পল্লব বোসকে বিশেষ সম্মান জ্ঞাপন করা হয়। অনুষ্ঠানে উদ্বোধনী সঙ্গীত পরিবেশন করেন দেবশ্রী কাঞ্জিলাল এবং সমগ্র অনুষ্ঠানটি দক্ষতার সঙ্গে সঞ্চালনা করেন বাসন্তী দাস। দ্য ব্রিটিশ ইনস্টিটিউটস্ এর পক্ষ থেকে শ্রাবণী মুখার্জী ও জিতেন গোস্বামী অনুষ্ঠান পরিচালনায় গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেন। অনুষ্ঠান শেষে চন্দ্রচূড় গোস্বামী সমস্ত প্রকার রাজনৈতিক মতপার্থক্যের ঊর্ধ্বে উঠে ভাষা শিক্ষা প্রসারের মাধ্যমে পশ্চিমবঙ্গ সরকারের “উৎকর্ষ বাংলা” কর্মসূচীকে সফল করার আবেদন জানান।