হবু আইনজীবী তৈরি করতে বর্ধমানের বিদ্যালয়ে পরীক্ষা শিবির।

লুতুব আলি, বর্ধমান, নতুন গতি : গতানুগতিক শিক্ষা ব্যবস্থা বেকার সমস্যা দূরীভূত করতে সক্ষম হচ্ছে না। বর্তমান প্রজন্মের শিক্ষার্থীদের বৃত্তিমূলক শিক্ষার প্রতি আগ্রহ সঞ্চার করতে এগিয়ে এলো বর্ধমান শহরের উপকণ্ঠে কাঞ্চন নগর দিনদাস উচ্চ বিদ্যালয়। আয়োজক এই বিদ্যালয়ের ডাকে সাড়া দিয়ে কলকাতার জাতীয় আইন বিশ্ববিদ্যালয় ইনক্রিসিং ডাইভারসিটি বাই ইনক্রিসিং অ্যাকসেস। ৩১ জুলাই এই বিদ্যালয় এর একাদশ ও দ্বাদশ শ্রেণীর ছাত্র-ছাত্রীদের আইন পরীক্ষায় ভর্তি হওয়ার জন্য একটি যোগ্যতা নির্ণায়ক পরীক্ষা নেয়া হয়। সংস্থার পক্ষ থেকে স্বপ্রভ চট্টোপাধ্যায় জানান, এই পরীক্ষাতে যোগ্য বিবেচিত ছাত্র-ছাত্রীরা আইন বিশ্ববিদ্যালয় ভর্তির পরীক্ষা কমন ল এডমিশন টেস্ট বা সি এল টি তে সরাসরি বসতে পারবে। এবং দেশের যেকোনো আইন বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়ার সুযোগ পাবে। আজকের পরীক্ষার আয়োজক তথা বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক ড: সুভাষচন্দ্র দত্ত কলকাতার আইন বিশ্ববিদ্যালয়কে ধন্যবাদ দিয়ে জানান, সাধারণ গ্রাজুয়েশন ছেড়ে অনেকে আজকাল অন্য কিছু করার কথা ভাবছে। আমাদের ছেলেমেয়েদের এই ভাবনাকে সার্থক করতে আজকের এই পরীক্ষা খুবই গুরুত্বপূর্ণ। একাদশ ও দ্বাদশ শ্রেনি থেকে মোট ৮০ জন এই পরীক্ষায় অংশগ্রহণ করেছে। এখান থেকে বেশ কিছু সংখ্যক ছাত্র-ছাত্রী আইন নিয়ে পড়ার সুযোগ নিশ্চয়ই পাবে। শিক্ষক অনিমেষ বর্মন, উত্তম মণ্ডল বলেন, সমাজে অপরাধের মাত্রা বেড়ে চলেছে। এই বিপর্যস্ত অবস্থার নিয়ন্ত্রণের জন্য দক্ষ আইনোগ্য দরকার। শুধু সামাজিক কারণেই না, নিজেদের মধ্যে আত্মবিশ্বাস বাড়িয়ে তুলতেও আইন নিয়ে পড়া খুবই জরুরি ও প্রাসঙ্গিক।