উঃ চব্বিশ পরগনা জেলা বন বিভাগের উদ্যোগে বারাসাতে বনমহোৎসব

নিজস্ব সংবাদদাতা : বারাসাত,পশ্চিমবঙ্গ সরকারের মুখ্যমন্ত্ৰী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের ঐকান্তিক উদ্যোগে পুরো রাজ্য জুড়ে সবুজায়নের লক্ষ্যে একগুচ্ছ পদক্ষেপ গ্রহণ করেছে।২০১১ থেকে ২০২১-এর মধ্যে মোট বনভূমি ও বৃক্ষ আচ্ছাদনের পরিমাণ ১৭.২৭% থেকে বেড়ে হয়েছে ২১.৬১%। সুন্দরবন সন্নিহিত তিনটি উপকূলীয় জেলায় ২০ কোটি ম্যানগ্রোভ চারা রোপণ করা হয়েছে।রাজ্যের ভৌগোলিক এলাকার পরিমাপ অনুযায়ী বন সংরক্ষিত এলাকার বিস্তার ৪.৫৬% থেকে বেড়ে হয়েছে ৫.২৮%। সুন্দরবনে বাঘের সংখ্যা বেড়ে হয়েছে ১০০ এবং রাজ্যে হাতি ও গন্ডারের সংখ্যা যথাক্রমে ৬৮২ ও ৩৪৩-এ দাঁড়িয়েছে।২০২২ থেকে ২০২৩-এর মধ্যে সেন্ট্রাল জু অথরিটি (CZA)-র র‍্যাঙ্কিংয়ে দার্জিলিং চিড়িয়াখানা ভারতের মধ্যে প্রথম ও কলকাতার আলিপুর চিড়িয়াখানা চতুর্থ স্থান পেয়েছে। ২০২০-এ নিউটাউনের হরিণালয় চিড়িয়াখানার নবরূপে উদ্বোধন করা হয়েছে।কোনও বন্যপ্রাণীর দ্বারা মানুষের প্রাণহানি হলে ২৪ ঘণ্টার মধ্যে ৫ লক্ষ টাকা অনুদান প্রদানের ব্যবস্থা করা হয়েছে। বন্যপ্রাণী দ্বারা নিহত ব্যক্তির পরিবারের একজনকে বনদপ্তরে নিয়োগের ব্যবস্থা করা হয়েছে।ফরেস্ট অ্যান্ড বায়োডাইভার্সিটি কনজারভেশন ফর ক্লাইমেট চেঞ্জ রেসপন্স ইন ওয়েস্ট বেঙ্গল প্রজেক্ট’-এ জাপান ইন্টারন্যাশনাল কোঅপারেশন এজেন্সি-র সঙ্গে ৬৫০ কোটি টাকার প্রকল্প অনুমোদন করা হয়েছে।জঙ্গল থেকে প্রাপ্ত কাঠের যাবতীয় নিলাম WBFDC-র ‘ই-অকশন’-এর মাধ্যমে করার ব্যবস্থা করা হয়েছে এবং ২০২২ থেকে ২০২৩-এর মধ্যে এই কাঠ বিক্রির রয়্যালটি বাবদ রাজ্যের কোষাগারে ৭৩.৪৮ কোটি টাকা জমা দেওয়া হয়েছে এবং যৌথ বন পরিচালন সমিতির সদস্যদের ৪২.৬২ কোটি টাকা দেওয়া হয়েছে।

    চলতি বছর বনমহোৎসব এর থিম সং অটুট থাকুক প্রাণের স্পন্দন,শান্ত পৃথিবীকে সবুজ অভিনন্দন!
    পশ্চিমবঙ্গ সরকারের মাননীয়া মুখ্যমন্ত্রী শ্রীমতি মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের অনুপ্রেরণায় ও রাজ্য সরকারের বনমন্ত্রী শ্রী জ্যোতিপ্রিয় মল্লিক এর নির্দেশে উঃ চব্বিশ পরগনা জেলা বনবিভাগ ও জেলা পরিষদের যৌথ উদ্যোগে মঙ্গলবার বারাসাতে জমকালো বনমহোৎসব অনুষ্ঠান সম্পন্ন হয়। বিশিষ্টজনদের নামে প্রতীকী গাছ লাগানো ও ভবিষ্যৎ প্রজন্মের জন্য সবুজের সমারোহ তৈরীর লক্ষ্যে শপথ নেওয়া হয়। পাশাপাশি শিক্ষার্থী, গুনীজন,সবুজশ্রী মা’দের হাতে চারাগাছ তুলে দেওয়া হয়। অনুষ্ঠানে উপস্থিত থেকে জেলাশাসক শ্রী শরদ কুমার দ্বিবেদী বলেন রাজ্য সরকারের উদ্যোগে উঃ চব্বিশ পরগনা জেলা প্রশাসনের তৎপরতায় সবুজায়নের লক্ষ্যে সবরকমের প্রচেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে বনবিভাগ। উপস্থিত সকলের উদ্দেশ্যে তিনি বলেন সুস্থ সুন্দর জীবনের জন্য সবাইকে পরিবেশ সম্পর্কে সচেতন হওয়ার পাশাপাশি পরিবেশ বান্ধব জিনিসের ব্যবহার ও ক্ষতিকারক বস্তুগুলি পরিহার করার আর্জি রাখেন।বিধায়ক তথা জেলা পরিষদের কর্মাধ্যক্ষ নারায়ন গোস্বামী ধন্যবাদ জ্ঞাপন করেন জেলা পরিষদের কর্মাধ্যক্ষ ফারহাদ কে। তিনি বলেন প্রতি বছরের ন্যায় এবারও বন দফতরের টিমের অনুষ্ঠানে আসতে পেরে ধন্য হলাম। সবাইকে এগিয়ে আসতে হবে জৈব বৈচিত্র্যের ভারসাম্য রক্ষা করতে।অনুষ্টানের অন্যতম পৃষ্ঠপোষক অরণ্য ও ভূমি দপ্তরের কর্মাধ্যক্ষ একেএম ফারহাদ বলেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের অনুপ্রেরণায় বনমন্ত্রী শ্রী জ্যোতিপ্রিয় মল্লিকের নেতৃত্বে বছরভর বৃক্ষরোপণের পাশাপাশি পরিবেশ সচেতনতার বার্তা দেওয়া হয়। মঙ্গলবার সুসজ্জিত ট্যাবলো, শোভাযাত্রা ও সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানের মাধ্যমে বনমহোৎসবের মাহাত্ম্য ও গুরুত্ব তুলে ধরা হয়।রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের নামে বৃক্ষরোপণ করার সাথে সাথে মন্ত্রী জ্যোতিপ্রিয় মল্লিক, রথীন ঘোষ, কাকলি ঘোষ দস্তিদার, পার্থ ভৌমিকের নামাঙ্কিত গাছ রোপণ করা হয়। তিনি বলেন অনুষ্ঠানের সর্বাঙ্গীণ সুন্দর করে তুলতে দপ্তরের আধিকারিক,বনোসহায়ক, শিক্ষক, শিক্ষিকা, ছাত্রছাত্রীদের ধন্যবাদ জ্ঞাপন করেন কর্মাধ্যক্ষ। উপস্থিত ছিলেন অনুষ্ঠানের অন্যতম পুরোধা ডিভিশনাল ফরেস্ট অফিসার রাজু সরকার, বারাসাত পৌরসভার ভাইস চেয়ারম্যান তাপস দাসগুপ্ত, কাউন্সিলর শিল্পা দাস,প্রধান শিক্ষক গৌরসুন্দর, কুতুব আক্তার, নূরুল হক,প্রধান শিক্ষিকা সোনালী দত্ত,পুরোহিত,ইমাম,বিশপ,শিক্ষক শিক্ষিকা, আধিকারিকগণ,বনসহায়ক,শিক্ষক, শিক্ষিকা, ছাত্রছাত্রী সহ সমাজের সর্বস্তরের মানুষজন প্রমুখ।