বিদ্যালয়ে শিশু ভর্ত্তি করন কর্মসূচী …চলো স্কুলে যাই….

নিজস্ব সংবাদদাতা, নতুন গতি: ডি.আর.সি.এস.সি এবং সেভ দ্যা চিলড্রেন যৌথ প্রচেষ্টায় কলকাতা সর্বশিক্ষা মিশনের মাধ্যমে ২৫টি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে কাজ করছে।
মূলতঃ শিশুদের শিক্ষার গুনগত মান বৃদ্ধি , ,স্কুলছুট বাচ্চাদের স্কুলমুখিকরা, শিশু বান্ধব বিদ্যালয় তৈরী করার লক্ষ্যে কাজ করে চলেছে এই সংস্থা। শিশু সংসদ গঠন ও তাদের দক্ষতা বৃদ্ধি,স্কুলে বাগান তৈরী,কার্য্যকরী লাইব্রেরী,শুধুমাত্র বই নয় হাতেকলমে নানা কাজের মাধ্যমে পঠন-পাঠনে ছোটদের আনন্দদায়ক ভাবে শেখানো ইত্যাদি এই কাজের অংগ ৷স্বল্প খরচে বা নিখরচায় নানাধরনের শিখন সামগ্রী তৈরী ও ব্যবহার, বিশেষ বিশেষ দিন পালন,এলাকার মানুষের মধ্যে সচেতনতা বৃদ্ধি যেমন বাচ্চাদের প্রতিদিন স্কুলে যাওয়ারগুরুত্ত্ব,পরিচ্ছন্নতা শিশুর অধিকার,ডেঙ্গু এছাড়াও অন্যান্য বিষয়ের উপর.এই সব নানারকম কাজকর্মের মধ্যে দিয়ে স্কুল গুলিকে আরও শিশুবানধব করার লক্ষে কাজ করে চলেছে ৷৷ এই সংস্থা এবার এক অভিনব উদ্যোগ নিল ২৫টি স্কুলে “চলো স্কুলে যাই”..অর্থাৎ বিদ্যালয়ে শিশু ভর্ত্তি কর্মসূচী ,কোথাও অটোতে করে বিভিন্ন কমিউনিটিতে মাইকিং করে প্রচার,লিফ্টলেট বিতরন,পোস্টার লাগানো ,সাথে নতুন বাচ্চা ভর্ত্তি করা,বিদ্যালয়ের বাচ্চারা প্রচার করে,সাথে শিক্ষক-শিক্ষিকা ও অভিভাবক -অভিভাবিকারাও এই এনরোলমেনট ড্রাইভ এ অংশ গ্রহন করে৷ আবার কোন স্কুলে পথরালি ,পথনাটক,পুতুল নাচ,নাচগান করে কমিউনিটির মানুষকে একত্রিত করে বলা,এর মধ্যে বেশ কয়েকটি স্কুলে হয়েগেছে -পরেশনাথ বালিকা বিদ্যালয়,সত্যরঞ্জন খাস্তগীর,শাস্ত্রিজী হরিজন বিদ্যামন্দির আরও অনেক স্কুলে৷ এই অভিযান শুরু হয়েছে ১০ই ডিসেম্বর থেকে আর চলবে ৩১তারিখ পর্যন্ত ৷ বিভিন্ন স্কুলের শিক্ষক-শিক্ষিকা জানান এই উদ্যোগের ফলে অনেক বাচ্চা স্কুলে ভর্ত্তি হচ্ছে ,অভিভাবক -অভিভাবিকারা এই নতুন পন্থা কে বিশেষ কার্য্যকরী ও গুরুত্ত্বপূরন বলে জানান৷
সব স্কুল এই দুই সংস্থাকে ধন্যবাদ জানায় এবং প্রতি বছর এই বিশেষ অভিযান যাতে হয় তার আবেদন জানান৷৷