নদীয়ার ফুলিয়ায় বিজেপির এক সক্রিয় কর্মীর দোকানে আগুন, অভিযোগের তির তৃণমূলের দিকে

নিজেস্ব প্রতিবেদক ,নতুন গতি, নদীয়া, মধ্যরাতে নদীয়ার রানাঘাট উত্তর পশ্চিম কেন্দ্রের অন্তর্গত শান্তিপুর ব্লকের ফুলিয়ায় একটি ইমারতি দ্রব্য বিক্রয়ের দোকানে অগ্নিসংযোগ লক্ষ্য করে এলাকাবাসী। এরপর ওই দোকানের মালিক অনুপ ঘোষকে খবর দিলে তখন তিনি জানতে পারেন। তড়িঘড়ি এসে দেখেন স্থানীয় প্রশাসন এবং দমকল কর্মীরা আগুন নেভাতে ব্যস্ত, ততক্ষনে দোকানের সমস্ত পিভিসি দ্রব্যাদি, দোকানের কাগজপত্র ব্যবসায়িক হিসাব নিকাশ, বেশকিছু নগদ অর্থ সবটাই ভস্মীভূত হয়ে গেছে। এ ব্যাপারে তিনি শান্তিপুর থানায় একটি লিখিত অভিযোগ করবেন বলে জানান। তিনি মনে করেন এলাকার তৃণমূল কর্মীরা এ কাজ করেছে, কারণ তাকে নানাভাবে এর আগেও অপমানসূচক কথা বলতেন এবং শাসানি দিতেন। ঘটনাস্থল নিজে দেখার জন্য উপস্থিত হন রানাঘাট উত্তর পশ্চিম কেন্দ্রে সদ্য জয়লাভ করা বিজেপি বিধায়ক পার্থসারথি চ্যাটার্জী, ছুটে আসেন পাশের শান্তিপুর কেন্দ্রের সদ্য জয়লাভ করা বিজেপি বিধায়ক তথা রানাঘাট কেন্দ্রে সাংসদ জগন্নাথ সরকার। তারা একযোগে বলেন, শুধু এখানে নয়, চাকদায় আমাদের জয়ী প্রার্থী বঙ্কিম ঘোষ এর বাড়ি সহ একাধিক বিজেপি কর্মীর বাড়ি ভাঙচুর করা হয়েছে, বেলঘরিয়ায় বেলতলা এলাকায় তিন পরিবারের উপর আক্রমণ হেনেছে তৃণমূল দুষ্কৃতী, আরবান্দি অঞ্চলের জিয়াকুর গ্রামে এখনো শাশানিন চলছে, গাংনাপুরে আমাদের কর্মীকে খুন করা হয়েছে, এই সমস্ত বিষয় গুলো নিয়ে রাজ্যপালের সাথে অতি শীঘ্রই আমরা দেখা করতে চলেছি। প্রয়োজন হলে ৩৫৬ ধারার দাবী করবো আমরা। তবে চুপ করে বসে থাকব না।

    যদিও সমস্ত ঘটনার পরিপ্রেক্ষিতে তৃণমূলের শান্তিপুর ব্লক সহ সভাপতি সুব্রত সরকার জানান কিছুদিন আগেও ফুলি শর্ট সার্কিট থেকে একটি দুর্ঘটনা ঘটে, এইরকমই কিছু হয়ে থাকতে পারে তবে তৃণমূলের নামে মিথ্যা অপপ্রচার চালানো হচ্ছে। রাজ্যে মানুষ বিজেপিকে প্রত্যাখ্যান করার পরে ওরা হতাশায় ভুগছে, তাই মিথ্যার আশ্রয় নিচ্ছে।