শান্তিপুরে তিন বিজেপি পরিবাকে হুমকি, মারধরের অভিযোগ তৃণমূলের বিরুদ্ধে 

নিজস্ব প্রতিবেদক,নতুন গতি,নদীয়া; নির্বাচনের ফলাফল ঘোষণা হওয়ার পরই নদীয়ার শান্তিপুর বেলঘড়িয়াএক নম্বর অঞ্চলের বেলতলাপাড়ার আশুতোষ হালদার, সঞ্জয় সরকার, স্বপন কর্মকারের পরিবারের ওপর অত্যাচার করে বলেই তারা জানান।স্থানীয় কিছু তৃণমূলের দুষ্কৃতীএর আগেও ওই তিন পরিবারকে নানান রকম হেনস্থা করে করেন বলে জানা গেছে। স্বপন কর্মকারের স্ত্রী রিয়া কর্মকার জানান দুপুরবেলায় তার স্বামীকে একবার খুঁজে গেছে তৃণমূলের লোকেরা, এরপর রাত্রে এসে দরজা ধাক্কাধাক্কি করে কিন্তু দরজায় তালা দিয়ে রেখেছিলাম বলে স্বামীকে খুঁজে না পাওয়ায় পাশের বাড়ি সঞ্জয় সরকারের বাড়িতে চড়াও হয় রাত একটা নাগাদ।সঞ্জয় সরকারের স্ত্রী সরস্বতী সরকার জানান, তার বৃদ্ধ শাশুড়িকে কোমরে চ্যালা কাঠ দিয়ে মারে ওই দুষ্কৃতীরা, এরপর আমার ছোট 3 বছরের শিশুকে চড় মারে, আমাকে ধাক্কা দিয়ে ফেলে দেয় এবং শ্লীলতাহানীর চেষ্টা করে, আমার স্বামীকেও বেদম প্রহার করে ওরা। প্রায় প্রত্যেকেই চিনি আমরা, ঊর্ধ্বতন নেতৃত্বকে জানানো হয়েছে, সংসদ এবং বর্তমান জয়ী বিধায়ক জগন্নাথ সরকার এসে ঘুরে যান। এর বিচার চাই।

    অপর এক বিজেপি কর্মীর আশুতোষ হালদার জানান, তার একটি ছোট মুদিখানা দোকানে এসে লাথি মেরে ভাঙতে চেষ্টা করে, তাকেও মারধর করে, সেসময় ওরা বলছিলো তোর বাড়িতে বিজেপির লোকজন আসে কেন! আমাকে বাধ্য করার সময় আমার স্ত্রী এসে থাকলে তাকেও ধাক্কা মেরে ফেলে দেয়। মাঝরাতে হাসপাতালে যাওয়ার কোন গাড়ি পাচ্ছিলাম না ! পুলিশ প্রশাসন আহত 6 জনকে শান্তিপুর হাসপাতালে নিয়ে যায় এরপর। পুলিশ গাড়ি টহল দিলেও এখনো কারোর গ্রেপ্তারের খবর শোনা যায়নি।ঘটনাস্থলে ওই তিন পরিবারের সাথে দেখা করতে যান শান্তিপুর বিধানসভার বিজয়ী প্রার্থী জগন্নাথ সরকার এবং রানাঘাট উত্তর পশ্চিম বিধানসভার জয়ীপ্রার্থী পার্থসারথি চ্যাটার্জী। তারা একযোগে বলেন, শুধু শান্তিপুর নয়, যেখানে যেখানে বিজেপি’র জয়লাভ করেছে সেখানে আক্রমণ করছে তৃণমূলের গুন্ডা বাহিনী। এর বিরুদ্ধে রাজ্যপালের দ্বারস্থ হব আমরা। প্রয়োজন হলে 365 মতন ধারা ব্যবহারে দাবি করতেও পিছপা হব না মানুষের বাঁচার অধিকার রক্ষার্থে। পার্থ সারথি চ্যাটার্জি বলেন চাকদার জয়ী প্রার্থীর সহ বেশকিছু বিজেপি নেতাকর্মীর বাড়ি ভাঙচুর করেছে ওরা, ফুলিয়ায় এক দলীয় কর্মীর দোকানে আগুন লাগিয়ে দিয়েছে, আরবান্দি জিয়াকুর গ্রামে মারধরের এবং তৃণমূলীশাসনী চলছে! আমরা চুপ করে বসে থাকব না, এর বিহিত করে তবেই ছাড়বো।

    যদিও তৃণমূলের ওই অঞ্চলের পঞ্চায়েত সদস্যা কাকলি বিশ্বাস জানান এটি সম্পুর্ন ওদের পারিবারিক বিষয়, এর সাথে দলের কোনো যোগাযোগ নেই। আমাদের নেত্রী মুখ্যমন্ত্রী তিনি এ ধরনের নোংরা কাজকে সমর্থন করেন না।