|
---|
শিলিগুড়ি: আচ্ছা ফ্লেক্স, ব্যানার, ফেস্টুন, দলীয় পতাকা, দেখেই কি ভোটাররা ভোট দেয়? ভোটের আগে লক্ষ লক্ষ টাকা খরচ করে দেওয়াল লিখন ফ্লেক্স পোস্টার-ব্যানার কেন লাগায় রাজনৈতিক দলগুলি? কেন দৃশ্য দূষণে ভোরে তোলা হয় শহরকে? আচ্ছা এই প্রশ্নটা কি কারো মনে কখনোই আসবেনা?
গত কয়েক দশক ধরে আলোচিত বিষয় গুলির মধ্যে অন্যতম বিষয় হচ্ছে পরিবেশ ও এর বিপন্নতা। যা নিয়ে চিন্তিত সারা বিশ্বের মানুষ। আমাদের পরিবেশের সমস্যা বহুমাত্রিক। পরিবেশ দূষণের কথা এলেই। জল,বায়ু, শব্দ দূষণের কথা উঠে আসে।
ব্যানারে নেতাদের ছবি যুক্ত করে এগুলো তৈরি করা হয়। জাতীয় নেতা থেকে শুরু করে পাড়ার কর্পোরেশন ভোটের নেতারাও এই ধরনের পোস্টার, ব্যানার, ফেস্টুন ও প্ল্যাকার্ড ছাপিয়ে এভাবেই জনগণের সামনে জাহির করে থাকে নিজেকে।
সামনেই শিলিগুড়ির পৌর নির্বাচন, পুর ভোটকে কেন্দ্র করে গোটা শিলিগুড়ি শহরে বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের ফ্লেক্স, ব্যানার ও পোস্টারে ভরে গিয়েছে। এই রকম শহর ঢাকা রাজনৈতিক দলের ফ্লেক্স, ব্যানার ও পোস্টার গুলিতে দৃশ্য দূষণ হচ্ছে শহরে এমনই মত আমজনতার।
কিন্তু এইসব দূষণ ছাড়াও বর্তমানে এখন আরও একটি দূষণ ছড়িয়ে পড়ছে আমাদের মধ্যে। তা হল দৃশ্য দূষণ, ঢেকে যাচ্ছে আকাশ। বিজ্ঞাপনের হোডিং এ এখন সূর্যোদয়-সূর্যাস্ত দেখাটাও ভাগ্যের ব্যাপার।
বর্তমান যুগ বিজ্ঞানের যুগ, এই যুগে বিজ্ঞাপন দিয়ে ঢেকে যাচ্ছে আমাদের সভ্যতা। গ্রাম থেকে শহর কোথাও বাদ পড়ে না বিভিন্ন ধরনের বিজ্ঞাপনের পোস্টার ও দেওয়াল লিখন।
নির্বাচন থাকুক বা না থাকুক সারা বছর ধরে বৈদ্যুতিক খুঁটি, গাছ ও দেয়ালে ঝুলতে থাকে পোস্টার, ব্যানার, প্ল্যাকার্ড। আর নির্বাচন এলে, দলীয় প্রতীক এবং ঐ সমস্ত পোষ্টার, ফ্লেক্স, অনেকেই জানাছেন, রাজনৈতির দলগুলির সৌজন্যে দেওয়াল লিখন, হোর্ডিং, ব্যানার, পোস্টার, ফ্লেক্সে কার্যত মুখ ঢেকেছে শহর।
আবার অনেকেই জানাছেন, আগে মনীষীদের ছবি টাঙ্গানো থাকতো শহরে, এবং তা শহরের মানুষ শ্রদ্ধার চোখে দেখতো। কিন্তু বর্তমান সময়ে শহর শিলিগুড়ি ডেকেছে বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের নেতাদের ছবিতে যা দৃষ্টিকটুই লাগে।
ভোট প্রচারে আবশ্যক নয়, ব্যানার বা পোস্টার। জনপ্রতিনিধি হয়ে কিভাবে জনগণের সুবিধা-অসুবিধা পাশে থাকছে জনপ্রতিনিধি তার ভিত্তিতেই জনসাধারণ ভোট দেবে। এইভাবে ব্যানার-ফেস্টুনে শহরকে দৃশ্য দূষণ করে কখনো কারো বাস্কে বেশি ভোট পড়ে কি।