|
---|
নতুন গতি ডিজিটাল ডেস্ক: BSF-এর এক্তিয়ার বৃদ্ধি নিয়ে ফের সরব মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। এই প্রসঙ্গে নাগাল্যান্ড Civilian Death প্রসঙ্গ তুলে আক্রমণ মুখ্যমন্ত্রীর। এদিন রায়গঞ্জের কর্ণজোড়ায় দুই দিনাজপুরের প্রশাসনিক সভা থেকে আবারও কেন্দ্রকে বিএসএফ ইস্যুতে আক্রমণ করলেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। বলেন, ‘আইনশৃঙ্খলা রাজ্যের বিষয়। তাও নিয়মবিরুদ্ধভাবে বিভিন্ন গ্রামে ঢুকে অত্যাচার চালাচ্ছে বিএসএফ। ওদের ১৫ কিমি আসার কথা, তাও পুলিশকে জানিয়ে। কিন্তু, ওরা অনুমতির না নিয়ে যা ইচ্ছে তাই করছে। যেখানে সেখানে ঢুকে পড়ে।’
রায়গঞ্জের প্রশাসনিক সভায় জেলার উত্তর ও দক্ষিণ দিনাজপুরের আইন-শৃঙ্খলা নিয়ে কথা বলতে বলতেই জেলার প্রশাসনিক কর্তাদের বিএসএফ নিয়ে প্রশ্ন করতে দেখা যায়। তিনি বলেন, ‘তোমাদের ওখানে একটা সমস্যা আছে। বিএসএফ মাঝে মাঝেই গ্রামে ঢুকে পড়ে। অত্যাচার করারও অভিযোগ শুনতে পাই। তোমরা ব্যাপারটায় নজর রাখো একটু। পুলিশকে জানিয়ে কাজ করে না ওরা। নাগাল্যান্ডে কী হল দেখলেন তো! আমাদের এখানে শীতলকুচির কথা মনে করুন। কদিন আগে কোচবিহারে তিনজন গুলিতে মারা গিয়েছে।’
একইসঙ্গে পুলিশ প্রশাসনকে বিএসএই ইস্যুতে সতর্ক থাকতে নির্দেশ দেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। তিনি বলেন, ‘তোমাদের খুব সতর্ক থাকতে হবে। আর আমাদের আইসিরা অনেক সময় ভাবেন, না, না, ঠিক আছে। ওদের ছেড়ে দাও। কে কে ছেড়ে দেন? আপনার এলাকায় বাইরের লোক ঢুকলে, মানে যার ঢোকার কথা নয়… রাজ্যের আইন-শৃ্ঙ্খলা তো আপনাদের হাতে।’
প্রসঙ্গত, এদিন সংসদেও তৃণমূলের তরফে বিএসএফ-এর এলাকা বৃদ্ধি নিয়ে সওয়াল তোলা হয়। লোকসভায় সুদীপ বন্দ্যোপাধ্যায়ও সংসদে নাগাল্যান্ডের ঘটনার কথা উল্লেখ করে তিনি BSF-এর এক্তিয়ার বৃদ্ধির সিদ্ধান্ত প্রত্যাহারের দাবি জানান।
উল্লেখ্য, পশ্চিমবঙ্গ, অসম ও পঞ্জাবে BSF-এর জন্য নয়া নির্দেশিকা জারি করেছে কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্র মন্ত্রক। নির্দেশিকায় বলা হয়েছে, আন্তর্জাতিক সীমান্ত থেকে ভারতীয় ভূখণ্ডের ৫০ কিমি পর্যন্ত এলাকায় গ্রেফতার, তল্লাশি, বাজেয়াপ্ত করার ক্ষমতা দেওয়া হয়েছে BSF-কে। আগে ১৫ কিমি পর্যন্ত এই সীমা ছিল। অর্থাৎ, নয়া নির্দেশিকা অনুয়ায়ী, তিন রাজ্যের পুলিশের মতোই গ্রেফতার, বাজেয়াপ্ত, তল্লাশির ক্ষমতা পেয়ে গেল BSF।কেন্দ্রের এই সিদ্ধান্তের প্রতিবাদে সোচ্চার হয়েছে মমতা সরকার। ১৬ নভেম্বর রাজ্য বিধানসভায় BSF-এর এক্তিয়ার বৃদ্ধির বিরোধিতায় প্রস্তাব পাশ হয়েছে। প্রস্তাবের পক্ষে ভোট পড়েছে ১১২টি, বিপক্ষে ৬৩টি।
উত্তরবঙ্গে সফরে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। প্রশাসনিক বৈঠকের জন্যই মঙ্গলবার সকালে মালদা থেকে রায়গঞ্জে পৌঁছান মুখ্যমন্ত্রী। রায়গঞ্জের কর্ণজোড়ায় দুই দিনাজপুরের আধিকারিকদের নিয়ে বৈঠক করেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।