সুখবর: কলকাতায় কমছে করোনার দাপট

নতুন গতি ডিজিটাল ডেস্ক: দেশজুড়ে নতুন করে শুরু হয়েছে করোনাভাইরাসের (Coronavirus) বিরুদ্ধে যুদ্ধ। এবারের শত্রু Omicron। অচেনা এই নয়া প্রজাতির করোনার বিরুদ্ধে লড়াইয়ে কিছুটা হলেও স্বস্তিজনক অবস্থায় রয়েছে কলকাতা। স্কুল-কলেজ খুলে গেলেও শহরের কোভিড গ্রাফ নিম্নমুখী। একইসঙ্গে সামগ্রিকভাবেও রাজ্যে করোনার দাপট কম। রাজ্য স্বাস্থ্য দফতরের বুলেটিন অনুযায়ী, গত ২৪ ঘণ্টায় বাংলায় নতুন করে করোনায় আক্রান্ত হয়েছেন ৫০৭ জন। একদিনে করোনায় মৃত্যু হয়েছে ৯ জনের। রাজ্যে সুস্থতার হার ৯৮.৩৩ শতাংশ।

    এদিকে, দিল্লি, মুম্বই, বেঙ্গালুরুতে Omicron-এর হদিশ মিললেও এখনও সুরক্ষিত কলকাতা। স্বাস্থ্য দফতরের পরিসংখ্যান অনুযায়ী, গত ২৪ ঘণ্টায় রাজ্যে আক্রান্তদের মধ্যে ১৩৭ জন কলকাতার বাসিন্দা। জেলাগুলির মধ্যে প্রথম স্থানে থাকলেও আগের দিনের তুলনায় অনেকটাই কমেছে সংক্রমণ। দ্বিতীয় স্থানে উত্তর ২৪ পরগনা। একদিনে সেখানে আক্রান্ত ১২১ জন।

    উল্লেখ্য, গত ২৪ ঘণ্টায় দেশেও কমেছে করোনা সংক্রমণ। এই সময়ে দেশে নতুন করে করোনায় আক্রান্ত হয়েছে ৬ হাজার ৮২২ জন, যা গত ৫৫৮ দিনের মধ্যে সর্বনিম্ন। এই সময়ে করোনামুক্ত হয়েছেন ১০ হাজার ৪ জন এবং মৃত্যু হয়েছে ২২০ জনের। এই মুহূর্তে দেশে সক্রিয় করোনা আক্রান্তের সংখ্যা ৯৫ হাজার ১৪ জন, যা ৫৫৪ দিনের মধ্যে সর্বনিম্ন। এখনও পর্যন্ত দেশে করোনাটিকা পেয়েছেন ১২৮ কোটি ৭৬ লাখ মানুষ। টিকাকরণকে হাতিয়ার করে করোনাকে বধ করার কথা বলছেন বিশেষজ্ঞরা।

    ওমিক্রন প্রসঙ্গে WHO-এর মুখ্য গবেষক সৌম্য স্বামীনাথন বলেন, ‘নতুন এই প্রজাতির ভাইরাস সম্পর্কে বিস্তারিত তথ্য এবং এর ক্ষতিকর প্রভাব সম্পর্কে জানতে আরও কিছুটা সময় লাগবে। তবে এটুকু বলা যাচ্ছে, এই ভ্যারিয়ান্ট ডেল্টার থেকে কয়েকগুণ বেশি সংক্রামক। একবার করোনা আক্রান্ত হওয়ার পরও থাবা বসাতে পারে এই প্রজাতির ভাইরাস। ক্লিনিক্যাল পরীক্ষায় ধরা পড়েছে, করোনাজয়ীরা ৯০ দিনের মাথায় ফের এই Omicron-এ আক্রান্ত হতে পারেন। একজন ওমিক্রন আক্রান্ত রোগীকে তিন সপ্তাহ পর্যবেক্ষণ করার পর এ সম্পর্কে আরও বিস্তারিত ব্যাখ্যা করা সম্ভব হবে।’

    সম্প্রতি একটি সাংবাদিক বৈঠকে IMA-র তরফে জানানো হয়, ‘যদি ওমিক্রনকে ঠেকাতে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ নেওয়া না হয়, সেক্ষেত্রে তৃতীয় কোভিড ঢেউ আছড়ে পড়তে পারে দেশে।’ IMA-র তরফে বলা হয়, ‘ভারতের করোনা পরিস্থিতি ধীরে ধীরে স্বাভাবিক হচ্ছে। এই পরিস্থিতিতে ওমিক্রনকে কিছুতেই মাথা তুলতে দেওয়া যাবে না।’ শুধু তাই নয় এই পরিস্থিতিতে প্রথম সারির করোনা যোদ্ধা- যেমন চিকিৎসক, নার্স, স্বাস্থ্য পরিষেবার সঙ্গে যুক্তদের কোভিডের আরও একটি ডোজ দেওয়া হোক দাবি করেছে IMA। তাদের দাবি, ‘এই মুহূর্তে যদি দেশবাসীর টিকাকরণের উপর জোর দেওয়া হয়, সেক্ষেত্রে ওমিক্রনের তৃতীয় ঢেউ আমরা কাটিয়ে উঠতে পারব।’ প্রত্যেক দেশবাসীকে করোনা টিকার দুটি ডোজ নেওয়ার কথা জানিয়েছে তারা।