|
---|
নিজস্ব প্রতিবেদক:- সুদূর উত্তর গোলার্ধ থেকে দক্ষিণে, একেবারে অস্ট্রেলিয়া পর্যন্ত বসবাস সাপেদের। যতদূর জানা যায়, সাপের সর্বমোট ১৫টি পরিবার ও ২,৯০০টিরও বেশি প্রজাতি রয়েছে। অ্যান্টার্কটিকা ছাড়া সকল মহাদেশেই সাপের উপস্থিতি দেখা যায়, তা সমুদ্রের গভীরতম তলদেশেই হোক অথবা পর্বতের সুউচ্চ শানুদেশেও। আবার আশ্চর্যের ব্যাপার, এমন কিছু দ্বীপ বা দ্বীপপুঞ্জ আছে যেখানে সাপের দেখা পাওয়া যায় না। বিষধর হিসেবে বিখ্যাত হলেও বেশীরভাগ প্রজাতির সাপ বিষহীন হয় এবং যেগুলো বিষধর সেগুলোও আত্মরক্ষার চেয়ে শিকার করার সময় বিভিন্ন প্রাণীকে ঘায়েল করতেই বিষের ব্যবহার বেশি করে থাকে। সাপেদের মধ্যে বেশ কিছু প্রজাতি বর্তমানে বিরল। আগে যত্রতত্র সাপ দেখা গেলেও এখন কমেছে সাপেদের সংখ্যা। মূলত চোরা শিকারীদের দৌরাত্ম্যে ও মানুষের ভয়ে সাপের সংখ্যা কমে গিয়েছে। তবে এখনও ঘরগিন্নি, চন্দ্রবড়া, কেউটে ইত্যাদি এই ধরনের সাপ দেখতে পাওয়া যায়।আর এরই মধ্যে ভাতার থানা এলাকা থেকে উদ্ধার হল একটি বালিবড়া বা বালুবড়া সাপ। সাপটি এক গৃহস্থের বাড়ি থেকে উদ্ধার হয় বলে জানা গিয়েছে। সাপটি উদ্ধার করে বর্ধমানের অ্যানিমাল ওয়েলফেয়ার সোসাইটির সদস্যরা। সাপটিকে উদ্ধার করে চিকিৎসার জন্য নিয়ে যায় পশু প্রেমী সংস্থার সদস্যরা। এই বালুবড়া বা বালিবড়া সাপটি স্ত্রী প্রজাতির। দেহ মোটাসোটা ও আকারে ছোট, শরীর ভারী, বেশি নড়াচড়া করতে পারছে না সাপটি। লেজটিও ছোট। দেহের পশ্চাৎভাগে কালো ছোপ রয়েছে এবং বুকের দিকটা হলদে সাদাটে। এই সাপটি পূর্ণবয়স্ক হলেও বিষহীন। এই বালিবড়াকে অনেকটা দেখতে ছোট অজগরের মত, অনেকে চন্দ্রবড়ার মতোও দেখতে বলে থাকেন। জানা গিয়েছে, সাপুড়ে বা চোরা শিকারীরা এই বালিবড়াকে অজগরের বাচ্চা বলে বিক্রি করে থাকেন।উল্লেখ্য, বালুবড়া সাপ, দৈর্ঘ্যে ৬০ থেকে ১০০ সেন্টিমিটার পর্যন্ত হয়ে থাকে। এদের ডিম্বাকৃতির চক্ষু আকারে ক্ষুদ্র। এদের গাত্রবর্ণ লালচে বাদামি, হলদে সাদা, গাঢ় বাদামি ইত্যাদি হয়ে থাকে। এরা নিশাচর হলেও দিনের বেলায় শিকারে বের হয়। ইঁদুর এদের প্রিয় খাদ্য। অন্যান্য খাদ্যের মধ্যে রয়েছে ব্যাঙ, টিকটিকি, পাখি ইত্যাদি। এরা প্রজননের সময়ে নিজ ডিম্বনালিতে ডিম পাড়ে। জুলাই মাসের আশেপাশের সময়ে এদের ৬ থেকে ৮টি বাচ্চা হয়। নেপাল, ভারত, বাংলাদেশ, শ্রীলঙ্কা, পাকিস্তান প্রভৃতি দেশে এই বালিবড়া বা বালুবড়া সাপ দেখা যায়।