স্নেহাশিস ব্যানার্জি: একজন কোভিদ যোদ্ধার গল্প

আসিফ রনি, নতুন গতি: মানুষ বাঁচে মানুষের জন্য। এমন কথাকেই নিজের মতো করে নিজেই কাজ করে চলেছেন অন্য মানুষদের জন্য।

    গত ২০ শে জুন টিভি ৯ বাংলায় একটি সংবাদ দেখানো হয়, এক ৭২ বছরের বৃদ্ধ ১৬ দিন ধরে এসএসকেএম হাস্পাতাল চত্ত্বরে পাব্লিক টয়লেটে কাছে পরে আছেন। খবরটা দেখে এবং ব্যাক্তির সাহায্যে এগিয়ে আসেন এক বাঙালি ভদ্রলোক স্নেহাশিস ব্যানার্জি। তিনি তার পরিবারের লোকের সঙ্গে যোগাযোগ জানতে পারেন দালালদের টাকার দাবী ও হাসপাতালের কর্মীরা গুরুত্ব না দেওয়ায় খোলা আকাশের নীচে ১৬ দিন ধরে পরে আছেন কৃষ্ণনগরের মানিক মন্ডল।

    স্নেহাশিস ব্যানার্জি বিভিন্ন সরকারি মহলে রোগীর বর্তমান কন্ডিশন নিয়ে অনিয়মের অভিযোগ করতে নড়েচড়ে বসে। ১৬ দিন ধরে খোলা আকাশের নীচে পরে থাকা ওই বৃদ্ধের শুরু হয় চিকিৎসা।

    স্নেহাশিস ব্যানার্জি একজন কোভিড যোদ্ধা, করোনার দ্বিতীয় ঢেউয়ে মানুষ যখন নাজেহাল, কী করবেন বুঝতে পারছেননা, তখন তিনি ৬০ থেকে ৭০ জন রোগীকে নানান ভাবে চিকিৎসা পেতে সাহায্য করেন।

    বাড়িতে বিনা চিকিৎসায় পরে থাকা গরীব পেশেন্টদের নিজের দায়িত্বে এম্বুলেন্সএর ব্যবস্থা করে সরকারি হাসপাতালে ভর্তির ব্যবস্থা করেন। কখনো নার্সিংহোমে সর্বস্বান্ত হতে থাকা রোগীকে উদ্ধার করে সরকারি হাসপাতালে চিকিৎসার ব্যবস্থা করে দেন।

    এছাড়াও করোনাকালে যখনই কোন হাসপাতালে রোগীর পরিষেবা পেতে কোন অসুবিধে হয়েছে তখনই তিনি সমস্যা সমাধান করার চেষ্টা করার সাথে সাথে করোনার ওষুধ ও অক্সিজেনের কালোবাজারি বন্ধ করতেও লাগাতার লড়াই করে গেছেন। শুধু তাই নয় মানুষের সাহায্যের জন্য তিনি প্রতিষ্ঠা করেছেন তাঁর নিজস্ব প্রতিষ্ঠান ক্যারিনো ফাউন্ডেশনের। আর তাঁর এই কাজের খবর ইতিমধ্যেই প্রকাশিত হয়েছে বিভিন্ন পত্রপত্রিকায়।

    এই ফাউন্ডেশনের উদ্দেশ্য স্কুল-কলেজের ড্রপ আউট বন্ধ করা। বিশেষভাবে করোনাতে সর্বস্বান্ত হওয়া পরিবার গুলোর ছেলে মেয়েরা যাতে পড়াশোনা চালিয়ে নিয়ে যেতে পারেন সেইটা নিশ্চিত করাই তাঁর ক্যারিনো ফাউন্ডেশনের উদ্দেশ্য। এছাড়াও গরীব রোগীদের পাশে দাঁড়ানো ও তাদের চিকিৎসা পেতে সাহায্য করাও এই ফাউন্ডেশনের একটি অন্যতম কাজ।স্নেহাশিস ব্যানার্জি মনে করেন এর চেয়ে বেশি আনন্দ আর কোন কাজে নেই।