|
---|
আজিজুর রহমান : গলসি হাসপাতালে চলছিল কোবিড ভ্যাকসিনের সিরিঞ্জ এর সংকট। ওই সংকট মেটাতে এবার দশ হাজার ভ্যাকসিন সিরিঞ্জ দিয়ে পাশে দাঁড়াল রাধেশ্যাম ইন্ডাস্ট্রিজ নামক একটি স্থানীয় বেসরকারী প্রতিষ্ঠান। তাদের এমন উদ্দ্যোগে কিছুটা হলেও স্বস্তি পেলেন পুরসা ব্লক প্রাথমিক স্বাস্থ্যকেন্দ্রের ভ্যাকসিন কাজে নিযুক্ত স্বাস্থকর্মীরা। হাসপাতালের বিএমওএইচ ফারুক হোসেন বলেন, গলসি ১ নং ব্লকের পুরসা ব্লক প্রাথমিক স্বাস্থ্যকেন্দ্র থেকে প্রতিদিনই আড়াই তিন হাজার মানুষের ভ্যাকসিনেসন করা হয়। তাছাড়া কখনও কখনও মেঘা ভ্যাকসিনেশন ক্যাম্পও করা হয় তাদের এলাকায়। পাশাপাশি এলাকার বিভিন্ন বুথে বুথে তারা সাধারণ মানুষকে ভ্যাকসিনেসন করে চলেছেন প্রতিনিয়ত। ফলে যোগান মত ভ্যাকসিনের সাথে সাথে সিরিঞ্জ প্রয়োজন জরুরী হয়ে পরেছে। বর্তমানে ভ্যাকসিনের সরকারী সরবরাহ বহাল থাকলেও সিরিঞ্জ এর সংকট দেখা দিয়েছিল তাদের প্রাথমিক স্বাস্থ্যকেন্দ্রে। ওই সংকটের বিষটি জানতে হাসপাতালে সিরিঞ্জ এর ওই সংকট মেটাতে হাসপাতালে আসেন রাধেশ্যাম ইন্ডাস্ট্রিজ এর দুই প্রতিনিধি অমিতাভ ব্যানার্জ্জী ও অরিন্দম সাহা। তাদের উদ্দ্যোগে এদিন দশ হাজার সিরিঞ্জ পেলে পুরসা ব্লক প্রাথমিক স্বাস্থ্যকেন্দ্র। এদিন ওই সিরিঞ্জ দিতে হাসপাতালে আসেন, গলসির বিধায়ক নেপাল ঘোরুই, রোগীকল্যান সমিতির সদস্য পার্থসারথী মন্ডল। স্থানীয় সিমনোড়ী গ্রামের বাসিন্দা সেখ রাজীব বলেন, ভ্যাকসিন নিতে এসে শুনেছিলাম হাসপাতালে ভ্যাকসিনের সিরিঞ্জ এর সংকট আছে। তারপর কিছু লোক বাক্স করে সিরিঞ্জ নিয়ে হাসপাতালে আসেন। এমন কাজে যারা সাহায্য করে পাশে দাঁড়িয়েছেন তাদের অসংখ্য ধন্যবাদ। এর পাশাপাশি অনেকেই এমন উদ্দ্যোগের প্রশংসা করেছেন।