|
---|
নতুন গতি ওয়েব ডেস্ক:-করোনার ত্রাস গোটা বিশ্বে। থমথমে বাংলা। মারণ ভাইরাসের কারণে আতঙ্কিত। কিন্তু সামনে উৎসবের মরসুম। সেই উৎসবের আমেজ মানুষের মধ্যে নেই কারণ করোনা মৃত্যুর ভয় আবার অন্যদিকে লকডাউনের কারণে রোজগারের পথে বাধা।এরকম এক বিভীষিকাময় মুহূর্তে রাজ্য সরকারী কর্মচারীদের জন্য সুখবর দিলেন মুখ্যমন্ত্রী। করোনা সংকটের কারণে রাজ্যের রাজস্ব আদায়ের ধাক্কা। রাজ্যের সরকারী কর্মচারীদের বেতনের টাকা কোথা থেকে আসবে বলে সংশয় প্রকাশ করলেও নবান্নে প্রেস কনফারেন্স করে বুধবার রাজ্য সরকারি কর্মচারীদের জন্য উৎসব বোনাস ও অগ্রিম ভাতা ঘোষণা করলেন। তিনি বলেন,
“করোনা সংকটের মধ্যেও কেন্দ্রের বঞ্চনা অব্যাহত রয়েছে। তবে তা সত্ত্বেও রাজ্য সরকারি কর্মচারীদের বেতন দিতে দেরি হয়নি। উৎসব থেমে থাকে না, বোনাস এবং অগ্রিম এবারও দেওয়া হবে। তা এবার কিছুটা বাড়ানোও হবে।”
আজ নবান্নে মুখ্যমন্ত্রী জানিয়েছেন, সরকারি কর্মচারীদের বোনাস বাড়িয়ে ৪২০০ টাকা করা হয়েছে৷ গত বছর উৎসব ভাতা হিসাবে রাজ্য সরকারি কর্মচারীরা পেয়েছিলেন ৪,০০০ টাকা। ২০১৮ সালে বোনাস পেয়েছিলেন ৩৬০০ টাকা। গতবছর উৎসবের মরশুমে অগ্রিম বাবদ সরকারি কর্মচারীরা পেয়েছিলেন ৮ হাজার টাকা। এবছর ২ হাজার টাকা বাড়িয়ে অগ্রিম উৎসব ভাতা ১০ হাজার টাকা করা হয়েছে৷ এর জন্য ৪০০ কোটি টাকা খরচ হবে৷ বোনাস পাওয়ার জন্য বেতনের উর্ধ্বসীমা বাড়িয়ে এবার ৩৪,২৫০ টাকা করা হয়েছে। যেটা আগে ছিলো ৩০ হাজার টাকা। একই ভাবে ৩৪,২৫০ টাকা পর্যন্ত যাঁদের বেতন ছিল তাঁরা অগ্রিম পেতেন। সে ক্ষেত্রেও উর্ধ্বসীমা বাড়িয়ে এ বছর ৪১,১০০ টাকা পর্যন্ত করা হয়েছে। মুখ্যমন্ত্রীর ঘোষণা অনুযায়ী, সরকারি কর্মী ও পেনশনার বাদেও পুরসভা, পঞ্চায়েত, স্কুল, বিশ্ববিদ্যালয়ের কর্মচারীরাও বোনাস ও অগ্রিমের সুবিধা পাবেন।
তবে রমজান ও দুর্গাপুজোর মরশুমে শুধু সরকারি কর্মচারীই নন – মুখ্যমন্ত্রীর ঘোষণা অনুযায়ী হাসি ফুটবে পেনশনারদের মুখেও।রাজ্যের পেনশনারদের জন্য এক্স-গ্রাশিয়া বাড়িয়ে ২২০০ করা হয়েছে,যেটা আগে ছিলো ২১০০টাকা। এক্ষেত্রে পেনশনের সিলিং বাড়িয়ে করা হয়েছে ২৯,৭০০ টাকা,যেটা আগে ছিলো২৬,০০০ টাকা। মুখ্যমন্ত্রী বলেন, অন্যান্য রাজ্যে বেতন কাটলেও এটা আমাদের সরকারের মানবিক মুখ। লকডাউন আবহে রাজস্ব আদায়ের ধাক্কা । তাই সরকারের কোষাগার খালি থাকলেও আমরা এক তারিখে সরকারি কর্মচারীদের বেতন দিই৷ এখনও রাজ্য সরকারি কর্মচারীদের বেতন সঠিক সময়ে হয়