|
---|
নিজস্ব সংবাদদাতা,কুলটিকরি, ঝাড়গ্রাম: একটু ভিন্ন আঙ্গিকে পালিত হলো জন্মদিনের অনুষ্ঠান।বিগত বছরের মতো এবছরও কুলটিকরী নিবাসী শিক্ষক দম্পতি কলেজ শিক্ষক সুকুমার প্রধান ও শিক্ষিকা ঋতু প্রধান তাঁদের একমাত্র মেয়ে সৃষ্টি’র জন্মদিন পালন করলেন একটু অন্যরকম ভাবে। প্রকৃতির সবুজ সমারোহের মাঝেই পালন হলো সৃষ্টি’র অষ্টম জন্মদিন। ঝাড়গ্রাম জেলার সাঁকরাইল ব্লকের কুলটিকরীর অদূরেই রুক্ষ পাথুরে পতিত বনভূমি তে বেশ কয়েক বছর ধরে চলেছে সামাজিক বনসৃজনের কাজ।পাশাপাশি এই করোনা অতিমারী কারণে প্রথাগত শিক্ষা প্রতিষ্ঠান গুলি বন্ধ থাকায় এলাকার পিছিয়ে পড়া প্রান্তিক শ্রেণীর পড়ুয়া দের নিয়ে গড়ে উঠেছে অবৈতনিক “সবুজের পাঠশালা”। এই কর্মকান্ডের মূল হোতা প্রাক্তন শিক্ষক গৌরসাধন দাসচক্রবর্তী । বেশ কয়েক জন সহকর্মী , শুভানুধ্যায়ী ও ছাত্রছাত্রীদের সহযোগিতায় গড়ে ওঠা এই সবুজের পাঠশালার সবুজ কচিকাঁচাদের সাথে মিলেমিশে তাদের সাথে খাবার, খেলনা ভাগ করে নিয়ে মেয়ের জন্মদিনের সকালটা কাটানোর এই অভিনব পরিকল্পনা করেন শিক্ষক দম্পতি সুকুমার প্রধান ও ঋতু প্রধান। সোমবার এমনই এক সুন্দর সকালের ছবি দেখা গেল কুলটিকরির পাটাশোল এর মাঠে।
এদিনের এই ছোট্ট অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন এলাকার বিশিষ্ট সমাজসেবী,শিক্ষাব্রতী সর্বেশ্বর মহাপাত্র,সমাজকর্মী সুবীর কুমার মণ্ডল, অঙ্কন শিক্ষক অলক দাস ও অন্যান্য বিশিষ্ট জনেদের। । ঘটনাক্রমে এদিন বিশ্ব আদিবাসী দিবসে প্রায় ১০০ জন আদিবাসী কচিকাঁচাদের শুকনো খাবার, চকোলেট, মাস্ক, প্রভৃতি দেওয়া হয়। পাশাপাশি পরিবেশ সচেতনতার বার্তার জন্য গত বছর এর মতো এ বছরও ৩৫ টি বিভিন্ন প্রজাতির বৃক্ষ জাতীয় গাছের চারা লাগলেন সুকুমার বাবু ও তাঁর স্ত্রী। গত বছরও তাঁদের মেয়ের জন্মদিন উপলক্ষ্যে কুলটিকরি মডেলে ৩৫টি চারাগাছ রোপন করেছিলেন তাঁরা।