ক্রুজ মাদক-কাণ্ডে অবশেষে গ্রেফতার আরিয়ান খান

নতুন গতি নিউজ ডেস্ক: ক্রুজ মাদক-কাণ্ডে অবশেষে গ্রেফতার আরিয়ান খান। শাহরুখ পুত্র-সহ তিন জনকে রবিবার গ্রেফতার করেছে এনসিবি। এই ঘটনায় শনিবার ৮ জনকে আটক করেছিল তদন্তকারী সংস্থা। ১২ ঘণ্টার বেশি সময় ধরে জিজ্ঞাসাবাদের পর এই গ্রেফতারি। জানা গিয়েছে, এনসিবির হাতে ধৃত অপর দুই আরবাজ মার্চেন্ট এবং মুনমুন ধামেচা। স্বাস্থ্য পরীক্ষার জন্য জেজে হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়েছে। ইতিমধ্যে একটি এফআইআর দায়ের করেছে এনসিবি। আটকদের থেকে এনডিপিসি আইনের ৬৭ ধারায় বয়ান রেকর্ড করা হয়েছে। এনসিবি ৫ অক্টোবর পর্যন্ত তিনজনকে হেফাজতে চেয়েছিল। কিন্তু আরিয়ান-সহ বাকিদের সোমবার পর্যন্ত এনসিবি হেফাজতে রাখা হবে।

    শনিবার সেই প্রমোদতরী থেকে বাকি যে পাঁচ জনকে আটক করা হয়েছিল— নূপুর সারিকা, ইসমিত সিং, মোহক জয়সওয়াল, বিক্রান্ত চোকর এবং গোমিত চোপড়া। বাজেয়াপ্ত করা হয়েছিল কোকেন, এসট্যাসি, মেফেড্রোন মাদক। কারও পোশাক কেটে, কারও জুতোর হিল খুলে মাদক উদ্ধার করেন তদন্তকারীরা। বাজেয়াপ্ত হয়েছে তাঁদের লাগেজ ব্যাগও।

    জানা গিয়েছে, ড্রাগ পেডলার বা মাদক সরবরাহকারীদের থেকেই খবর পেয়েই এই অভিযান। এনসিবির একটি অংশ বলছে, ওই সমুদ্র বন্দরের নিরাপত্তার দায়িত্বে থাকা সিআরপিএফ সুত্র মারফৎ এনসিবির কাছে রেভ পার্টির খবর যায়। তারপরেই সাদা পোশাকে ছদ্মবেশে যাত্রী সেজেই ওই তরীতে ওঠেন এনসিবি আধিকারিকরা। লক্ষ্য একটাই, হাতেনাতে মাদক সেবনকারীদের আটক করা। এই রেভ পার্টি-কাণ্ডের তদন্তে গভীরে যেতেই কোমর বাঁধছে এনসিবি। মাদক সরবারহকারীদের সঙ্গে এই চক্রের মাথার খোঁজেও তদন্ত চলবে এমনটাই সুত্রের খবর।

    যে প্রমোদতরীর রেভ পার্টিতে অভিযান চালানো হয়েছিল, সেই কোর্ডেলিয়ার জাহাজ মন্ত্রকের ছাড়পত্র ছিল না। বাণিজ্যিক এবং যাত্রী পরিবহণের স্বার্থে প্রমোদতরী ব্যবহারে বিশেষ লাইসেন্সে জন্য আবেদন করতে হয়। আবেদনে প্রমোদ প্রসঙ্গ উল্লেখ করতে হয়। কিন্তু কোর্ডেলিয়ার আবেদনে কিছু ঘাটতি থাকায় মেলেনি ছাড়পত্র। এমনটাই জানান অমিতাভ কুমার।