তাবরেজ আনসারীর স্ত্রী তাঁর স্বামীর ওপর ভয়াবহ নির্যাতন করে হত্যার সিবিআই তদন্তের দাবি জানিয়েছেন

 

    নতুন গতি ওয়েব ডেস্ক : গতবছর জুন মাসের ১৮ তারিখ ঝাড়খণ্ডের সেরাইকেলা খারসওয়ান জেলায় ২৪ বছর বয়সী তাবরেজ আনসারী নামের এক যুবক বিদ্বেষ মূলক অত্যাচারের শিকার হন। তাবরেজ আনসারী ও অপর দুই ব্যক্তিকে মোটরসাইকেল চুরির অভিযোগে অত্যাচার করে একদল উগ্রহিন্দুত্ববাদির মানুষ। ঘন্টার পর ঘন্টা তাদেরকে একটি ইলেকট্রিক পোল এর সঙ্গে বেঁধে রেখে চালানো হয় অকথ্য অত্যাচার। অত্যাচার এতই প্রবল ছিল যে হাসপাতালে ভর্তি করার চারদিন পরে শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করেন তাবরেজ আনসারী।

    দীর্ঘ একবছর হয়ে গেলো ন্যায় বিচার পাইনি তাবরেজ আনসারী। এবার তাবরেজ আনসারীর হত্যার CBI তদন্তের আহবান জানালেন তাবরেজের স্ত্রী শায়েস্তা পারভীন। শায়েস্তা পারভীন মঙ্গলবার মুখ্যমন্ত্রী হেমন্ত সোরেনের সাথে দেখা করার পরে তাঁর স্বামীর অপর হওয়া ধর্মীয় বিদ্বেষ মূলক অত্যাচারের মামলায় সিবিআই তদন্তের দাবি জানিয়েছেন।

    আনসারী স্ত্রী বলেন,“আমি মুখ্যমন্ত্রীর সাথে দেখা করার পরে, তিনি আবেদনে আমার উত্থাপিত দাবি খতিয়ে দেখার জন্য এক সপ্তাহের সময় চেয়েছেন। আবেদনে আমি এই বিষয়ে সিবিআই তদন্তের দাবি জানিয়েছি, আমার স্বামীর মামলায় ফার্স্ট ট্র্যাক আদালতে প্রতিদিনের শুনানির দাবি জানিয়েছি, যা বর্তমানে সরাইকেলার প্রথম অতিরিক্ত জেলা ও দায়রা আদালতেবিচারাধীন রয়েছে। এর পাশাপাশি আনসারী স্ত্রী শায়েস্তা পারভীন বলেন, “আমি রাজ্য সরকারী চাকরির পাশাপাশি ২৫ লক্ষ টাকার আর্থিক সহায়তাও চাই।

    এর আগে ২০১৯ সালের সেপ্টেম্বর মাসের ১৭ তারিখ তাবরেজ হত্যাকারীদের বিরুদ্ধে খুনের মামলা রুজু না হলে আত্মহত্যা করার হুমকি দিয়েছিলেন শায়েস্তা পারভীন। সেদিন উনি ঝাড়খণ্ডের সরাইকেল্লায় জেলা কালেক্টরের সঙ্গে সাক্ষাৎ করে তিনি হুঁশিয়ারি দেন। অবিলম্বে স্বামীর ন্যায়বিচারের দাবিও জানান তিনি।

    উল্লেখ যে – তাবরেজ আনসারী গণপিটুনি মামলায় অভিযুক্তদের একের পর এক জামিন দিয়ে দেওয়া হয়েছে, ২০১৯ সালের ডিসেম্বর মাসের ১১ তারিখ মোট ১৩ জন অভিযুক্তের মধ্যে ৬ জনেরই জামিন মঞ্জুর করে দিয়েছে রাঁচি হাইকোর্ট। পুলিশের এফআইআর এ সরাসরি তাদের নাম না থাকায় তারা জামিন পেয়েছেন। এর আগেই আরো সাত অভিযুক্তের আগেই জামিন হয়েছিল। এদিকে অভিযুক্তরা হাইকোর্টে জামিন পাওয়ায় প্রথমে থেকেই বেজায় ক্ষুব্ধ আছেন তাবরেজ আনসারির স্ত্রী শাহিস্তা পারভীন । তার কথায়, পিটিয়ে মারার ভিডিও টি কি তাহলে ভুয়া ছিল? পুলিশ প্রথমে অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে খুনের মামলা প্রত্যাহার করে নিল। এর পর জামিনও পেয়ে গেল।