|
---|
নিজস্ব সংবাদদাতা, বাঁকুড়া: বরাবরই তিনি মানুষের পাশে থাকেন l তাই আবারও মানবিক মুখ নিয়ে এগিয়ে এসে ক্যান্সার আক্রান্ত দুই শিক্ষার্থীর পাশে দাঁড়িয়ে মানবিকতার দৃষ্টান্ত স্থাপন করলেন মানবদরদী শিক্ষক হেরম্ব নাথ চক্রবর্তী l
বাঁকুড়া জেলার তালডাংরা থানার তিলাবনি গ্রামের বাসিন্দা শেখ আব্দুল সাদেক এর পুত্র শেখ আনাস শিশু শ্রেণির ছাত্র l বেশ কিছু শারীরিক সমস্যা নিয়ে চিকিৎসকের কাছে গেলে কিছু পরীক্ষা-নিরীক্ষার পর জানা যায়, এই ছোট্ট শিশুর শরীরে বাসা বেঁধেছে মারণ রোগের অস্তিত্ব l তার জীবন দীপকে প্রজ্বলিত রাখার জন্য প্রয়োজন অস্থি মজ্জা প্রতিস্থাপন বা বোন ম্যারো ট্রান্সপ্লান্ট l দারিদ্র্যের সাথে লড়াই করা এই পরিবারটির পক্ষে এই বিপুল পরিমান খরচ বহন করা অসম্ভব l তাই পুত্রের জীবন দীপ কে প্রজ্জ্বলিত রাখার জন্য প্রয়োজনীয় আর্থিক সাহায্যের জন্য তাঁরা বিভিন্ন স্তরে আবেদন জানান l
অন্যদিকে বাঁকুড়া জেলার বিষ্ণুপুর থানার দ্বারিকা গ্রামের বাসিন্দা রাজকুমার নন্দীর মেয়ে খুশি নন্দী ষষ্ঠ শ্রেণির ছাত্রী l এই শিশুটিও এই মারন রোগের শিকার l তারও জীবন দীপকে প্রজ্বলিত রাখার জন্য প্রয়োজন অস্থি মজ্জা প্রতিস্থাপন বা বোন ম্যারো ট্রান্সপ্লান্ট l এই চিকিৎসার জন্য বিপুল খরচ বহন করাও ওই পরিবার টির পক্ষে অসম্ভব l খবর পেয়ে এই দুটি পরিবারের সাথেই যোগাযোগ করেন হেরম্ব বাবু এবং তাঁদের পাশে গিয়ে দাঁড়ান এই মানব দরদী শিক্ষক l ক্যান্সারাক্রান্ত এই দুই শিক্ষার্থীর চিকিৎসার জন্য প্রত্যটি পরিবারকে দশ হাজার করে মোট কুড়ি হাজার টাকা দুটি পরিবারের হাতে তুলে দেন হেরম্ব বাবু l উল্লেখ্য, হেরম্ব বাবুর বাড়ি বাঁকুড়া জেলার তালডাংরা থানার হাড়মাসড়া গ্রামে l তিনি কদমা উচ্চ বিদ্যালয়ের শিক্ষক l হেরম্ব বাবুর বাবা পন্ডিত তারানন্দ চক্রবর্তী ছিলেন বাঁকুড়া জেলার সারেঙ্গা থানার জাম্বনি উচ্চ মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের একজন ছাত্র দরদী এবং মানবদরদী শিক্ষক l সমাজ ও শিক্ষায় উল্লেখযোগ্য অবদানের জন্য 2001 সালের 5 সেপ্টেম্বর দিনটিতে,নতুন দিল্লির বিজ্ঞান ভবনে তৎকালীন ভারত সরকারের কাছ থেকে তারানন্দ বাবু পেয়েছিলেন “জাতীয় শিক্ষক” এর বিরল সম্মান l হেরম্ব বাবু জানান, ” এই সমস্ত জনহিতকর সামাজিক কর্মকাণ্ডে বাবা বরাবরই পাশে থেকেছেন উৎসাহ দিয়েছেন এবং এই ভাবেই এগিয়ে যাওয়ার পরামর্শ দিয়েছেন”l