|
---|
নিজস্ব সংবাদদাতা : পরীক্ষার টান বলুন অথবা অদম্য চেষ্টা। এই দুই-ই প্রমাণ করে দেখালেন বীরভূমের ঝুমা। কয়েক ঘণ্টার সন্তানকে কোলে নিয়েই ঝুমা দিলেন মাধ্যমিকের জীবন বিজ্ঞান পরীক্ষা। বীরভূমের ঝুমা খাতুন এমনটাই করে দেখিয়েছেন শনিবার। তার এই পরীক্ষার টান এবং পরীক্ষা দেওয়ার প্রচেষ্টাকে কুর্নিশ জানিয়েছেন শিক্ষক মহল।ঘটনার সূত্রপাত শুক্রবার ইতিহাস পরীক্ষার দিন। সেদিন পরীক্ষা চলাকালীন ঝুমা খাতুনের প্রসব যন্ত্রণা ওঠে। সেই প্রসব যন্ত্রণা নিয়েই ঝুমা পরীক্ষা শেষ করেন। পরীক্ষা শেষ হওয়ার পর তড়িঘড়ি তাকে ভর্তি করা হয় রামপুরহাট গভর্নমেন্ট মেডিকেল কলেজ ও হাসপাতালে। সেখানেই রাতে ফুটফুটে এক সন্তানের জন্ম দেন ঝুমা। সন্তানের জন্ম হওয়ার কয়েক ঘণ্টা পরেই রয়েছে জীবন বিজ্ঞান পরীক্ষা। তবে সেই প্রসব কষ্টকে সঙ্গী করেই হাসপাতালের বেডে বসে পরীক্ষা দিয়ে নজির গড়লেন ঝুমা।
ঝুমা খাতুন বীরভূমের মাড়গ্রামের মুন্সিপাড়ার বাসিন্দা। তিনি মাড়গ্রাম উচ্চ বিদ্যালয়ের পড়ুয়া। তার এবার মাধ্যমিক পরীক্ষার সিট পড়েছিল মল্লারপুরের অম্বা হাইস্কুলে। গতকাল এই স্কুলেই পরীক্ষা দেওয়ার সময় তার প্রসব যন্ত্রণা ওঠে এবং তাকে ভর্তি করা হয় রামপুরহাটের গভর্নমেন্ট মেডিকেল কলেজ ও হাসপাতালে।শুক্রবার রাতে সন্তানের জন্ম দেওয়ার পর শনিবার পরীক্ষা দেওয়ার বিষয়ে আগেই মনস্থির করেছিলেন ঝুমা। এরপর হাসপাতালের বেডে বসে পরীক্ষা দেওয়ার জন্য স্কুল কর্তৃপক্ষের কাছে আবেদন জানানো হয়। স্কুল কর্তৃপক্ষ ঝুমা খাতুনের সেই আবেদনে সাড়া দেন এবং হাসপাতালে বসেই পরীক্ষা দেওয়ার বন্দোবস্ত করে দেন বলে জানিয়েছেন ঝুমা। সন্তান জন্ম দেওয়ার কয়েক ঘণ্টা পর এইভাবে জীবনের প্রথম বড় পরীক্ষায় বসে যেমন ঝুমা নজির সৃষ্টি করেছে ঠিক তেমনি তার এই কৃতিত্ব সমস্ত স্তরের পরীক্ষার্থীদের কাছে পরীক্ষা দেওয়ার প্রচেষ্টার এক জ্বলন্ত উদাহরণ।