|
---|
নতুন গতি নিউজ ডেস্ক: করোনার জেরে লকডাউন। আর তাতেই রোজগার বন্ধ। স্ত্রী ছেলের মুখে ভাত তুলে দিতে হিমশিম খেতে হচ্ছিল। এদিকে বাজারে দেনার পর দেনা। কীভাবে ঋণ মেটাবে বুঝে পাচ্ছিলেন না সমীর কুমার গুহ । সমীরবাবু পেশায় কাপড়ের ব্যবসা ছিলেন।
সোদপুর বসাক বাগান অঞ্চলে কিছুদিন ভাড়া এসেছিলেন সমীর গুহ। দু-তিন দিন ধরে এলাকার মানুষরা তাঁদের দেখতে পাচ্ছিলেন না। হঠাৎ আজ তাঁদের ঘর থেকে দুর্গন্ধ বের হতে থাকে। আশেপাশের বাসিন্দারা খড়দহ থানায় ফোন করে। পুলিস এসে দরজা ভেঙে সমীর বাবুর ঝুলন্ত দেহ উদ্ধার করে।
পাশেই পাওয়া যায় তার স্ত্রী ও তার একমাত্র ছেলেকে। প্রাথমিক অনুমান স্ত্রী ও ছেলেকে হত্যা করার পরই তিনি আত্মহত্যা করেছেন। ঘটনাস্থল থেকে উদ্ধার হয়েছে একটি চিঠি।
সেখানে স্পষ্ট কতটা সমস্যার মধ্যে পড়েছিলেন তাঁরা। সেখানেও তিনি দেনা মেটানোর কথা বলে গিয়েছেন। পার্থ ঘোষ নামের কাউকে লিখেছেন সেই চিঠি। তাঁকে কিছু দায়িত্ব দিয়ে গিয়েছেন। বাড়ির জিনিস পত্র বেঁচে সেই টাকা দেনা পাওনাদের দিয়ে দিতে বলেছেন তিনি। চিঠির শেষে লেখা রয়েছে, বিদায় কুট্টি এবং তারিখ ২/৬/২০২১। তাই মনে করা হচ্ছে ২ তারিখই বউ ও ছেলেকে হত্যা করে আত্মহত্যা করেছেন সমীর গুহ।