|
---|
নতুন গতি ওয়েব ডেস্ক: ‘বাংলা বাঁচাও আন্দোলন’কে কেন্দ্র করে ৫ দফা দাবিকে সামনে রেখে বিশাল মিছিল করল অখিল ভারতীয় বিদ্যার্থী পরিষদ। গেরুয়া ছাত্র সংগঠনের পক্ষে রাজ্যের বর্তমান অবস্থার বিরুদ্ধে অভিযোগ জানিয়ে তারা রাজ্যপালের কাছে গিয়ে জমা দিল ডেপুটেশন। এই মিছিল স্বামী বিবেকানন্দের বাড়ির সামনে থেকে শুরু হয়ে ধর্মতলায় রানী রাসমণি রোডে গিয়ে সমাপ্ত হয়। কলকাতার বিভিন্ন স্কুল কলেজ থেকে মিছিলে প্রায় ৫০০র বেশি ছাত্রছাত্রী অংশগ্রহণ করে বলে জানিয়েছে এবিভিপি। মিছিল শেষে বিদ্যার্থী পরিষদের তিনজন প্রতিনিধি রাষ্ট্রীয় সম্পাদক, সপ্তর্ষি সরকার, দক্ষিণবঙ্গ প্রান্ত সহ সম্পাদক সানি সিং এবং কলকাতা মহানগর সম্পাদক মৃণ্ময় দাস রাজ্যপালের কাছে গিয়ে ডেপুটেশন জমা দেয়।
রাজ্যের বিভিন্ন প্রান্তে তৃণমূলী দুষ্কৃতীদের হাতে আক্রান্ত হচ্ছে গেরুয়া শিবির, রাজ্যে শিক্ষা পরিকাঠামোর ক্রমশ অবনতি, বেকারত্ব বৃদ্ধি ইত্যাদি নানা ঘটনার সাক্ষী থেকেছে পশ্চিমবঙ্গের মানুষ- তৃণমূলের মাত্র এই দশ বছরের শাসনে। এমনটাই বারবার অভিযোগ করে এসেছেগেরুয়া ছাত্র সংগঠন। এই সমস্ত অভিযোগের বিরুদ্ধে তাদের নয়া স্লোগান ‘বাংলা বাঁচানোর’। তাদের নয়া স্লোগানসহ যে ৫ দফা দাবিকে সামনে রেখে এই মিছিল করেছিল।
১. সুরক্ষিত নারী সুরক্ষিত বাংলা।
২. ভিক্ষা নয় শিক্ষা চাই , কর্মসংস্থানের সুযোগ চাই।
৩. সন্ত্রাস নয় শান্তি চাই , গণতান্ত্রিক অধিকার
৪. অবিলম্বে মুসলিম তোষণ বন্ধ করতে হবে ।
৫. অবিলম্বে শিক্ষার পরিকাঠামোর উন্নতি ও রোজগার কেন্দ্রিক শিক্ষা চাই। আগামী জানুয়ারি থেকে পশ্চিমবঙ্গের প্রতিটি জেলার প্রাণকেন্দ্র তথা সদর শহরগুলিতে উপরিউক্ত পাঁচটি বিষয় এবং এলাকাভিত্তিক স্থানীয় ইস্যুগুলোকে কেন্দ্র করে ডিএম’কে ডেপুটেশন জমা দেওয়া কর্মসূচি নেওয়া হবে। কলকাতার পাশাপাশি বুধবার মূলত এই কার্যক্রম হয় হাওড়া, হুগলী, উত্তর ২৪ পরগণা, দক্ষিণ ২৪ পরগণা ও বীরভূমে।
সংগঠনের পক্ষে জানানো হয়েছে, ‘বাংলা বাঁচাও আন্দোলনকে বড় আকারে রূপ দেওয়ার জন্য আগামী ২২ ফেব্রুয়ারি ‘কলকাতা চলো’ এবং ২৪ ফেব্রুয়ারি ‘শিলিগুড়ি চলো’-র ডাক দেওয়া হয়েছে। প্রায় লক্ষাধিক ছাত্র-ছাত্রী দের নিয়ে এই মহামিছিল আয়োজন করা হবে। মানববন্ধন ,ম্যারাথন দৌড়, পথসভা, আলোচনা সভা , ছাত্র-যুব তথা বৃহত্তর সমাজকে জনজাগরন কর্মসূচি এবং পাঁচটি বিষয়ের উপরে সমগ্র পশ্চিমবঙ্গের পাঁচটি জায়গায় সমাজের বুদ্ধিজীবী ব্যক্তিত্বদের নিয়ে কর্মশালা, পশ্চিমবঙ্গের সকল জনপ্রতিনিধি , বিভিন্ন রাজনৈতিক এবং সামাজিক সংগঠনের প্রমুখ ব্যক্তিত্বদের কাছে কাছে স্মারকলিপি দেওয়া, পাঁচটি বিষয়ের উপর ব্ল্যাক পেপার প্রকাশিত করা করা হয়।