|
---|
নিজস্ব প্রতিবেদক:- ছেলের মৃতদেহ নিয়ে বাড়ি ফেরার পথে নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে উল্টে গেল অ্যাম্বুল্যান্স, প্রায় দু’ঘণ্টা রাস্তার উপর সন্তানের দেহ কোলে নিয়ে বসে থাকল পরিবার। মর্মান্তিক ঘটনাটি ঘটেছে নদিয়ার (Nadia) শান্তিপুর থানার অন্তর্গত গোবিন্দপুরে। পুলিশি নিষ্ক্রিয়তার অভিযোগে বিক্ষোভ দেখান স্থানীয়রা।জানা যায়, নবদ্বীপ থানা এলাকার বাসিন্দা এক ব্যক্তি কলকাতার হাসপাতাল থেকে ছেলের মৃতদেহ নিয়ে বাড়ি ফিরছিলেন অ্যাম্বুল্যান্স করে। ফেরার পথে গোবিন্দপুর ৩৪ নম্বর জাতীয় সড়কে অ্যাম্বুল্যান্সটি নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে উল্টে যায়। এরপর দীর্ঘক্ষণ রাস্তার পাশে সন্তানকে কোলে নিয়ে বসে থাকে পরিবার। স্থানীয় লোক ছুটে এসে খবর দেয় শান্তিপুর থানায়। পুলিশ ঘটনাস্থলে আসলেও অ্যাম্বুল্যান্স না আসার কারণে প্রায় ২ ঘণ্টার উপর রাস্তাতেই দেহ নিয়ে বসে থাকেন তাঁরা। এরপরই এলাকার মানুষের ক্ষোভ বাড়তে থাকে। শুরু হয় বিক্ষোভ। অবশেষে শান্তিপুর স্টেট জেলা হাসপাতাল থেকে অ্যাম্বুল্যান্স এসে মরদেহ নিয়ে যায়।অন্যদিকে, রামপুরহাটের (Rampurhat Violence) বগটুই গ্রামে সোমবার রাতে জীবন্ত দগ্ধ হলেন বীরভূমের (Birbhum) নানুরের দান্যপাড়ার বাসিন্দা যুবক কাজি সাজিদুর রহমান৷ সাজিদুরের সঙ্গেই আগুনে পুড়ে মৃত্যু হয়েছে তাঁর স্ত্রী মার্জিনা খাতুনেরও৷ সোমবার রাতে বীরভূমের বগদুই গ্রামে কয়েকটি বাড়িতে অগ্নিসংযোগের ঘটনায় যে কয়েকজনের মৃত্যু হয়েছে, তাঁদের মধ্যে অন্যতম সাজিদুর রহমান এবং তাঁর স্ত্রী মার্জিনা খাতুন৷ পেশায় মাদ্রাসার কর্মী সাজিদুরের সঙ্গে বগটুই গ্রামের বাসিন্দা মার্জিনার বিয়ে হয় তিন মাস আগে৷ বিয়ের পর ছুটি পেয়ে বেশ কয়েকবার শ্বশুরবাড়িতে এসেছেন সাজিদুর৷ সোমবারও স্ত্রীকে নিয়ে বগটুই গ্রামে আসেন ওই যুবক৷রাজ্য সরকারের তরফে জানানো হয়েছে, সোমবার রাতের ঘটনায় মোট আটজনের মৃত্যু হয়েছে৷ নবদম্পতির মৃত্যুতে সাজিদুরের পরিবারে শোকের ছায়া৷ ছেলে দেহ শনাক্ত করে দোষীদের কঠোর শাস্তির দাবি করেছেন সাজিদুরের বাবা৷ পাশাপাশি বৌমার দেহও ফেরত চেয়েছেন তিনি৷