মহিষ গাড়িতে করে অভিনব কায়দায় প্রচার বিজেপির, কটাক্ষ তৃণমূলের

নতুন গতি ওয়েব ডেস্ক: সামনে আসছে বিধানসভা ভোট। কার্যত এবার বাংলা দখলের জন্য মরিয়া বিজেপি। সেই লক্ষ্যে চলছে বিভিন্ন রাজনৈতিক জনসভা,যোগদান কর্মসূচি,মিছিল। এইদিন বিজেপি সংখ্যালঘু জেলা সহ-সভাপতি মতিউর রহমানের নেতৃত্বে মালদহের হরিশ্চন্দ্রপুর ২ ব্লকের ব্যাংড়ুয়া-ঢেটুল গ্রামে মিছিল ছিল বেশ কিছুটা ভিন্ন এবং অভিনব কায়দায়। মহিষের গাড়িতে করে ১৫ কিলোমিটার দীর্ঘ পথ জুড়ে মিছিলের আয়োজন করা হয়। সম্ভবত এই ধরণের মিছিল এই প্রথম মালদহের হরিশচন্দ্রপুরে। এইদিন মালদার ৪৬ নম্বর বিধানসভা, হরিশচন্দ্রপুর এ ১৫ কিলোমিটার পথ জুড়ে অভিনব পদ্ধতিতে মিছিল এবং কাটমানি ইস্যুতে শাসকদলকে বিধলেন বিজেপির সংখ্যালঘু নেতা মতিউর রহমান। শুধু তাই নয় দুর্নীতি রুখতে রাজ্যে বিজেপিকে আহ্বান জানিয়েছেন তিনি। তার বক্তব্য অনুযায়ী এই মুহূর্তে রাজ্যে সমস্ত বিষয় নিয়ে যে দুর্নীতি চলছে তা একমাত্র বিজেপিই রুখতে পারে। এবং বিজেপিকে সমর্থন করতে রাজ্যের সমস্ত সংখ্যালঘু ভাইদের আহ্বান জানিয়েছেন তিনি। এইদিন মিছিলে কাটমানি ইস্যুতে শাসকদলের বিরুদ্ধে মুখ খুললেন বিজেপির সংখ্যালঘু নেতা মতিউর রহমান। তিনি সমাজের উন্নয়নমূলক কাজে সহায়তা করার আবেদন জানিয়েছেন সকলের কাছে। কাটমানি ইস্যুতে বলেছেন আজ মানুষকে একটা ঘর, বাথরুম যে কোনো কাজে দালাল ধরতে হয়। দালাল ছাড়া কোনো কাজ এই রাজ্যে হয় না। তৃণমূল পার্টির নেতারা চেইন সিস্টেমের সাহায্যে এই কাজগুলি করে থাকেন। কোনো কাজ করার জন্য মানুষের থেকে যে কাটমানি নেওয়া হয় তার বখরা পায় উপর মহলের অফিসাররা। বিজেপির প্রতি আস্থা রেখে তিনি বলেছেন নরেন্দ্র মোদী এলে এই দুর্নীতি নিশ্চয় বন্ধ হবে।

    বিজেপি নেতা তথা সংখ্যালঘু জেলা সহ-সভাপতি মতিউর রহমান বলেন ভারতীয় জনতা পার্টির তরফ থেকে ৪৬ নম্বর বিধানসভা হরিশ্চন্দ্রপুর ২ ব্লক ব্যাংড়ুয়া-ঢেটুল গ্রামে আমাদের কর্মসূচি ছিল। ঘর হোক, বাথরুম হোক বা আদালতে যাই, যে কোনো কাজ করতে গেলে আমাদের দালাল ধরতে হয়। এইসব দূর করার জন্য আমরা মুসলিম সমাজ উদ্যোগ নিয়েছি বিজেপিকে নিয়ে আসবো। এই মিছিলে আমরা বার্তা দিতে চাইলাম যে সবাই ভারতীয় জনতা পার্টিতে যোগদান করে। ভবিষ্যতে তারা আমাদের থেকে সহোযোগিতা পাবে। আমাকে সহোযোগিতা করুক সবাই। আশা করছি বিজেপি রাজ্যে এলে এই দুর্নীতি বন্ধ হবে।

    এই মিছিল প্রসঙ্গে বিজেপিকে কটাক্ষ তৃণমূলের। সংখ্যালঘু জেলা তৃণমূল সভাপতি মোশারফ হোসেন কাটমানি ইস্যুকে অপপ্রচার এবং বিজেপি একটি সাম্প্রদায়িক দল বলে কটাক্ষ করেছেন তিনি। তার বক্তব্য, বিজেপি যদি সাম্প্রদায়িক দল না হয় তাহলে ওদের সংখ্যালঘু উন্নয়ন মন্ত্রক ছাড়া আর কোনো মন্ত্রক উত্তরপ্রদেশে নেই কেন? ওরা কোনো মুসলিম প্রার্থী দেয়না কেন? এবং যে কাটমানির কথা হচ্ছে তা একটা শব্দ বন্ধক কেবল। এরকম কোনো ব্যাপার নেই। এগুলো বিরোধীদের অপপ্রচার। আর দুর্নতির কথা বললে বিজেপি সবচেয়ে বড়ো দুর্নীতিগ্রস্ত দল। এরা উন্নয়নের কথা বলে না। ধর্মের নামে ভোট চায়। যারা ধর্মের নামে ভোট চায় তারা সাম্প্রদায়িক দল নয় তো, কোন দল ? আক্রমণ, পাল্টা আক্রমণে উত্তপ্ত রাজ্য রাজনীতি। বিজেপি-তৃণমূল দ্বৈরথে সরব রাজনৈতিক মহল। নিজ নিজ প্রচারে মাঠে নেমে পড়েছে দুই দলই। একে অপরের ত্রুটি তুলে ধরতে পিছপা নয় কেউই। একুশে বিধানসভা নির্বাচনে কার ভাগ্যে ছিঁড়বে সিকে ? প্রশান্ত কিশোর পরিচালিত তৃণমূল নাকি মোদী অমিত শাহের বিজেপি ? তা বলবে সময়।