|
---|
নিজস্ব প্রতিবেদক:- মোবাইল ফোনে কথা বলতে বলতে বাস চালাচ্ছিল চালক। আর তাতেই হল বিপত্তি। নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে যাত্রী বোঝাই বাস উল্টে গেল নয়নজুলিতে। দুর্ঘটনায় আহত বাসের প্রায় দশ জন যাত্রী। তাদের মধ্যে সাত জনকে বর্ধমান মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসার জন্য পাঠানো হয়েছে। দুর্ঘটনার পরই পলাতক চালক। ঘটনার পর স্থানীয় বাসিন্দারা উদ্ধার কাজে হাত লাগান। পরে দেওয়ানদীঘি থানার পুলিশ পৌঁছে আহতদের উদ্ধার করে বর্ধমানে চিকিৎসার জন্য পাঠায়। পাশাপাশি দুর্ঘটনাগ্রস্থ বাসটিকে ক্রেনের সাহায্যে নয়নজুলি থেকে তুলে নিয়ে যায় পুলিশ । জানা গিয়েছে, এদিন দুপুরে কুসুমগ্রামের দিক থেকে একটি বাস খেঁড়ুর, ছাতনি হয়ে বর্ধমানের নবাবহাট আসছিল। দেওয়ানদীঘি থানার ভিটে সোনপুরের কাছে দুর্ঘটনার কবলে পড়ে বাসটি। আহত বাস যাত্রীদের অভিযোগ, চালক বারবার ফোনে কথা বলতে বলতে গাড়ি চালাচ্ছিল। এরই মধ্যে অন্যমনস্ক হয়ে পড়ায় নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে রাস্তার পাশের নয়নজুলিতে বাসটিকে নামিয়ে দেয় চালক। এরপরই উল্টে যায় বাসটি। বাসের সামনের কাঁচ ভেঙে চুরমার হয়ে যায়। দুর্ঘটনার পর খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে পৌঁছান ডিএসপি (হেড কোয়ার্টার) অতনু ঘোষাল, দেওয়ানদীঘি থানার ওসি উত্তাল সামন্ত সহ পুলিশ বাহিনী। দ্রুত আহতদের উদ্ধারের পাশপাশি দুর্ঘটনাগ্রস্থ বাসটিকে উদ্ধারের ব্যবস্থা করা হয়। চালকের খোঁজে তল্লাশি চালাচ্ছে পুলিশ। ঘটনার তদন্ত শুরু করেছে পুলিশ। যাত্রীরা জানিয়েছেন, বাসে প্রায় ৩০জন যাত্রী ছিল। এদের মধ্যে গর্ভবতী মহিলাও ছিলেন। অনেক যাত্রীর মাথায়, হাতে, পায়ে চোট লেগেছে। তবে যাত্রী কম থাকায় অল্পের জন্য প্রাণে বেঁচে গেছেন সকলে। বারবার ঘটছে বাস দূর্ঘটনা। প্রায়ই শিরোনামে আসছে নয়নজুলিতে উল্টে যাওয়ার ঘটনা। এসবের পরও হুঁশ ফিরছে না চলকদের। কেউ কানে ফোন নিয়ে তো কেউ নিয়ন্ত্রনহীন ভাবেই চালাচ্ছেন বাস। প্রশাসনকে বুড়ো আঙুল দেখিয়ে নিজেদের খেয়াল খুশি মতো বাস চালাচ্ছেন বাস চালকদের একাংশ। যার ফলে ভুগতে হচ্ছে সাধারণ মানুষকে।