বর্ষায় মরণফাঁদে পরিণত হয়েছে বাঁকুড়া শহর তারপরেও বিদ্যুৎ দফতরের ঘুম ভাঙছে না

নিজস্ব প্রতিবেদক:-  বিদ্যুৎস্পৃষ্ট হয়ে জোড়া মৃত্যুর পরেও বাঁকুড়া শহর জুড়ে মরণফাঁদের ছবি। বিপজ্জনকভাবে  খোলা পড়ে রয়েছে বিদ্যুতের তার। খোলা প্যানেল বক্স। স্থানীয়দের অভিযোগ, দু’জনের মৃত্যুর পরেও হুঁশ ফেরেনি প্রশাসনের। বাঁকুড়া শহরের ছবি বলে দিচ্ছে একের পর এক মানুষের বিদ্যুৎস্পৃষ্ট হয়ে মারা যাওয়া সত্বেও সম্পূর্ণ উদাসীন বিদ্যুৎ দফতর।বেশি দিন নয়, শনিবারই বাঁকুড়া শহর লাগোয়া ভুতশহর গ্রামে বিদ্যুৎবাহী ছেঁড়া তারে বিদ্যুৎস্পৃষ্ট  হয়ে মৃত্যু হয়েছে দু’জনের ।  স্থানীয় বাসিন্দাদের শত অভিযোগের পর  বিষয়টিকে গুরুত্ব দিয়ে দেখা হবে বলে জানিয়েছিল প্রশাসন। কিন্তু কই? শুধু কলকাতা নয় কলকাতা সহ রাজ্যের বিভিন্ন জায়গায় খোলা তারে বিদ্যুৎস্পৃষ্ট হয়ে মৃত্যু মিছিল অব্যাহত। তারপরেও বিদ্যুৎ দফতরের ঘুম ভাঙছে না। তাদের গাফিলতিতে সাধারন মানুষের প্রাণ যাচ্ছে। এমনই অভিযোগ সামনে আনলেন বাঁকুড়া শহরের স্থানীয় মানুষজন।এদিন সকালে স্থানীয় বাসিন্দাদের উদ্যোগে চোখে পড়ে এমন কিছু ছবি। দেখা গিয়েছে,  বিপজ্জনক উচ্চতায় রয়েছে বিদ্যুতের খোলা তার। ল্যাম্পোস্টের নীচে খোলা সুইচ প্যানেল বক্স। গাছের ডাল ঝুলে রয়েছে বিদ্যুতের তারে। যে কোনও মুহূর্তে বিপদ ঘটতে পারে। বলা যেতে পারে বর্ষায় মরণফাঁদে পরিণত হয়েছে বাঁকুড়া শহর।ভুতশহরের ঘটনায় লালবাজারের ষ্টেশন ম্যানেজারকে সরিয়ে অনির্দিষ্টকালের ছুটিতে পাঠানো হয়েছে। তবে স্থানীয়দের বক্তব্য, আধিকারিকদের সরিয়ে দিয়ে সমস্যার সমাধান হয় না। সমস্যা সমাধানের জন্য প্রয়োজন পরিকল্পনার। যদিও এই বিষয়ে গুরুত্বপূর্ণ বৈঠক করে শহরের ও বিভিন্ন প্রান্তে খোলা তার নিয়ে পদক্ষেপ নেওয়া হচ্ছে বলেও জানানো হয়েছে প্রশাসনের তরফে।