প্রার্থী বদলের দাবিতে মুরার‌ইয়ে কংগ্রেস কার্যালয়ে ভাঙচুর

নিজস্ব সংবাদদাতা: পশ্চিমবঙ্গে আসন্ন বিধানসভা ভোটের দামামা বেজে গেছে। প্রার্থীদের নাম প্রায় চূড়ান্ত হয়ে গেছে কিন্তু প্রার্থী তালিকা প্রকাশের পর থেকেই বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের গোষ্ঠী কোন্দল যেন থামতেই চাইছে না। সাগর থেকে পাহাড় প্রতিটি এলাকাতেই প্রার্থীপদ নিয়ে চলছে ঠান্ডা লড়াই। সেরকমই বুধবার কংগ্রেসের গোষ্ঠী কোন্দল প্রকাশ্যে এলো মুরার‌ই বিধানসভায়। কংগ্রেসের কর্মী সমর্থকরা মুরার‌ই-১ ব্লকের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে ভাঙচুর চালান পরে নেতৃত্বদের তালাবন্দি করে রাখেন বেশ কিছুক্ষণ। কংগ্রেস কর্মীদের দাবি মুরার‌ই বিধানসভায় কোন কর্মীর মতামত না নিয়ে প্রার্থী করা হয়েছে আসিফ ইকবাল রাসেলকে যার ফলে তারা ক্ষোভে ফেটে পড়েন। অবিলম্বে প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতির কাছে প্রার্থী বোতলের দাবিও জানান তারা। অন্যদিকে কংগ্রেস প্রার্থী আসিফ ইকবাল জানান আমি ঘটনাস্থলে ছিলাম না তবে এই ঘটনার সঙ্গে যারা জড়িত তারা দলের কেউই নয়। আমি হয়তো কারো কাছে ভালো কারো কাছে খারাপ কিন্তু আমি সবাইকে নিয়ে চলতে জানি। ভাঙচুর কখনোই কোনো সমস্যার সমাধান নয়।

    একদিকে যখন ভাঙচুর অন্যদিকে বীরভূম জেলা কংগ্রেস নেতৃত্বের উপরে ক্ষোভ উগড়ে দিয়ে কংগ্রেস ছেড়ে তৃণমূল কংগ্রেসের যোগ দিয়েছেন দীর্ঘদিনের লড়াকু জেলা নেত্রী মরিয়ম খাতুন। মারিয়মের অভিযোগ কয়েকজন নিজের ইচ্ছামত প্রার্থীপদ সিলেক্ট করেছে, দীর্ঘদিন যারা কংগ্রেসের সাথে যুক্ত তাদেরকে ধোঁকা দিয়ে এই প্রার্থীপদ কখনোই গ্রহণীয় নয়, যারা নেতৃত্বকে সম্মান দেয় না সেখান থেকে সরে আসাই উত্তম বলে মনে করেছি।

     

    অন্যদিকে কংগ্রেসকে এক হাতে নিয়েছেন মুরার‌ই-২ ব্লকের তৃণমূল কংগ্রেসের সাধারণ সম্পাদক মোঃ শহীদুল্লাহ। তিনি বলেন কংগ্রেস হচ্ছে বড়লোকেদের দল, যেখানে সাধারণ মানুষকে কোন সম্মান ও মর্যাদা দেওয়া হয় না। কংগ্রেসের আসল রূপ মানুষ ধরে ফেলেছে আমরা অতীতে দেখেছি ভারতের বেশ কয়েকটি রাজ্যে কংগ্রেস ক্ষমতায় আসার পর‌ও সেখানে বিজেপি কংগ্রেস নেতৃত্বকে কিনে সরকার গঠন করেছে। যা গণতন্ত্রের কাছে লজ্জার।