ছেলেধরার আতঙ্ক আবার শুরু,চুরি করা ছেলে বিক্রি করতে এসে ধৃত দুষ্কৃতি

শুভ চক্রবর্তী চন্দ্রকোণা:বাচ্চা বিক্রি করা হবে বিক্রেতার খোঁজ করছে এক যাযাবর দম্পতি এমনই খবর যায় প্রশাসনের কাছে।খবর পেয়ে প্রশাসনের আধিকারিকরা বাচ্চাটিকে উদ্ধার করে নিয়ে গেল।কার বাচ্চা কোথা থেকে এল তদন্ত শুরু করেছে ইতিমধ্যে প্রশাসন।ঘটনায় জিজ্ঞাসা বাদের জন্য একজনকে আটক করা হয়েছে।এমনই ঘটনা পশ্চিম মেদিনীপুর জেলার চন্দ্রকোনা থানার খিরাটি এলাকায়।জানাযায় খিরাটি এলাকায় বেশ কয়েক মাস ধরেই কয়েকজন যায়াবর বসবাস করছিল,আর সেই যাযাবরেরাই নাকি ৩ বছর বয়স এক কিশোরকে বিক্রি করবে এমনই কয়েকজন গ্রাম গ্রামবাসী জানান।এমন খবর যায় পশ্চিম মেদিনীপুর জেলার চাইল্ড ডিপার্টমেন্টের কাছে। খবর পেয়ে চাইল্ড দপ্তরের আধিকারিক ও চন্দ্রকোনা থানার পুলিশ ঘটনাস্থলে পৌঁছে ওই বাচ্চাটিকে উদ্ধার করে নিয়ে যায়।অভিযুক্ত বানজারা মুসলাম সিং এর স্ত্রীর দাবি,তার ভাই কয়েক মাস আগে ওই বাচ্চাটিকে তাদের কাছে দিয়ে গিয়েছিল।এই বাচ্চাটি হাওড়ার কোন এক স্টেশন থেকে তার ভাই কুড়িয়ে পেয়েছিল বলে ওই বানজারা মহিলার দাবি।অপরদিকে এই ঘটনা জানাজানি হতেই খিরাটি গ্রামের মানুষজন দাবি তুলেছেন সঠিক বাবা মায়ের হাতে তুলে দেওয়া হোক বাচ্চাটিকে।এই বাচ্চা কার, থাকবে কোথায়?রীতিমতো এই নিয়েই প্রশাসনের আধিকারিকদের বাড়ল চাপ।এবিষয়ে জেলা চাইল্ড প্রোটেক্ট অফিসার অমল মান্না জানান,আমাদের কাছে খবর আসে এক যাযাবর দম্পতি একটি বাচ্চাকে নিয়ে এসে রেখেছে তারা কাউকে বিক্রি করবে।সেমতো পুলিশকে সাথে নিয়ে বাচ্চাটিকে উদ্ধার করা হয়।এলাকারই অর্চনা ঘোড়ই নামের এক মহিলা জানান,তার শ্বশুর মশাই অতুল ঘোড়ইয়ের সাথে বাচ্চাটিকে দেওয়া নিয়ে কথা হয়েছিল।তাদের এক আত্মীয়ের কোনো বাচ্চা না থাকায় ওই বাচ্চাটিকে দেওয়া নিয়ে কথা হয়েছিল।তবে দরদাম হয়নি।আর এই ঘটনায় রীতিমতো চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে খিরেটি এলাকায়।