গৃহস্থের বাড়ি থেকে গলায় চেন বাঁধা অবস্থায় একটি পূর্ণ বয়স্ক হনুমানকে উদ্ধার করল বন দফতর

নিজস্ব সংবাদদাতা : হাওড়া জেলার বিভিন্ন প্রান্তে হনুমানের তাণ্ডবের ঘটনা সামনে এসেছে কয়েকদিন ধরেই। হাওড়া ডোমজুড় ব্লকের পাশাপাশি দুটি গ্রাম কেশবপুর ও নতিবপুর গ্রামের কয়েক হজার মানুষ হনুমানের আতঙ্কে গৃহবন্দ, আবার পাঁচলা জালালসী গ্রামে একই চিত্র হনুমানের তাণ্ডবের। হনুমানের হাত থেকে রক্ষা পেতে এলাকার মানুষ বনদফতরের সাহায্যপ্রার্থী। তবে হাওড়া আমতায় উল্টো পুরান, গৃহস্থের বাড়ি থেকে গলায় চেন বাঁধা অবস্থায় একটি পূর্ণ বয়স্ক হনুমানকে উদ্ধার করল বন দফতর। ঘটনাটি ঘটেছে গ্রামীণ হাওড়ার আমতা-১ ব্লকের বালিচক গ্রাম পঞ্চায়েতের ভালুচক গ্রামে।
জানা গেছে, ভালুচক গ্রামের এক বাসিন্দা বেশ কিছুদিন ধরে একটি পূর্ণ বয়স্ক হনুমানকে গলায় চেন বেঁধে নিজের কাছে রেখেছিল। স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, একটি হনুমান গ্রামে মাঝে মধ্যেই আসত। ওই ব্যক্তি হনুমানটিকে নিয়মিত খাবার দিত। একদিন সুযোগ বুঝে হনুমানটিকে শিকলে বেঁধে ফেলে। তারপর থেকে তিনি হনুমানটিকে নিজের কাছে প্রায় চার মাস শিকল বেঁধে পোষ মানানোর চেষ্টা।গোপন সূত্রে খবর পেয়ে সোমবার সেখানে পৌঁছে যান বন দফতরের কর্মীরা। তাঁরা দেখেন একটি গাছে হনুমানটিকে গলায় চেন দিয়ে বেধে রাখা হয়েছে। স্থানীয় প্রশাসনের সহযোগিতায় তৎক্ষনাৎ পূর্ণ বয়স্ক হনুমানটিকে উদ্ধার করেন বন কর্মীরা। অভিযোগ, ওই ব্যক্তি বেশ কয়েকমাস ধরে হনুমানটিকে পুষছিলেন।বন দফতর সূত্রে জানা গেছে, বন্যপ্রাণ সংরক্ষণ আইন অনুযায়ী হনুমান পোষা আইনত দণ্ডনীয়। জানা গেছে, দীর্ঘদিন হনুমানটি মানুষের সংস্পর্শে থাকায় খাদ্যাভ্যাসে কিছুটা পরিবর্তন হয়েছে। তাই কয়েকদিন পর্যবেক্ষণে রাখার পর পরিবেশে হনুমানটিকে জঙ্গলে ছাড়া হবে।