মা বাবা হারা ছেলের পাশে দাঁড়ায়নি এলাকার নেতা মন্ত্রী, অবশেষে অসহায় ছেলের দায়িত্ব নিলো তারাশঙ্কর চ্যারিটি

নতুন গতি ওয়েব ডেস্ক : মালদা জেলার হবিবপুর ব্লকের অত্যন্ত গ্রামের কানতুর্কা অঞ্চলের গাজিয়া কাঁদর এলাকার আদিবাসী পরিবারের ছেলে তার নাম, রতন হেমব্রম,(৯) বাবা ডণ্ড হেমব্রম মৃত্য হয়েছে প্রায় চার বছর আগে। বাবা মারা যাওয়ার পর মাও ছেরে চলে যায় অন্য একজন কে বিয়ে করে। রয়ে যায় ছোট্ট বালক রতন” ফিরেও দেখেনি তার মা সন্তানের মুখ । রতনের বাবা প্রচুর মদ্য পাণ করায় অসুখ হয়ে মারা যায়। বহু কষ্টে দিন কাটতে থাকে ছোট্ট রতনের । রতন হেমব্রম বাবা মা হারিয়ে কানতুর্কার গাজিয়াকাঁদর গ্রামে একাই হয়ে পড়েছিলো। তা দেখে তার জেঠিমা দিনময় মুর্মু রতন কে নিজের দায়ত্ব নিয়ে তাকে বড় করতে থাকে তার জেঠিমা দিনময় মুর্মু তারও স্বামী মারা গিয়েছে যার ফলে পরিবারে সাত জনের সদস্য তার সংসার চালানো অবস্থা নুন আন্তে পান্তা ফুরোয় বহু কষ্টে প্রতিটা দিন কাটে। রতনের জেঠিমার বাড়িতে রয়েছে সাত জন সদস্য, কারোর রেশন কার্ড নেই। পরিবারের রয়েছে মাত্র একটি রেশন কার্ড তাও আবার RKSY-1, তার উপর ভিত্তি করেই রেশন থেকে চাল পাই।

     

    রতনের জেঠিমা দিন মজুরের কাজ করে সংসার চালায়। রতন পড়াশুনা করার প্রতি খুব আগ্রহ। তার জেঠিমা তাকে চতুর্থ শ্রেণী পর্যন্ত পড়াশুনা করিয়েছে। সংসারের অভাব কেড়ে নিয়েছে রতনের পড়াশোনা। তবুও রতনের মুখে সব সময় হাসি। কিন্তু সেই হাসির আড়ালে যে কি পরিমান কষ্ট লুকিয়ে রয়েছে। রতনের এই পরিস্থিতি খবর সংবাদ মাধ্যমকে পৌঁছায় টিম তারাশঙ্কর চ্যারিটির কাছে ।

     

    তারাশঙ্কর চ্যারিটির সদস্যরা তখন সেখানে পৌঁছে রতনের এই পরিস্থিতি ছবি তুলে ধরে । তারা জানাতে পারে পড়াশোনা করার জন্য এলাকার নেতা সহ বিভিন্ন জায়গায় গিয়েছে রতনকে নিয়ে তার জেঠিমা। কিন্তু কেউ এগিয়ে আসেনি বলে অভিযোগ। এই অবস্থায় তার পাশে দারালেন টিম তারাশঙ্কর চ্যারিটি সদস্যরা। এবার রতনের বেচে থাকার লড়ায়ে তার পুরো দায়িত্ব নিচ্ছে তারাশঙ্কর চ্যারিটি সদস্যরা। রতন কে ভালো ইনস্টিটিউটে ভর্তি ও তার পড়াশোনা দায়িত্ব সম্পুর্ন নিছে টিম তারাশঙ্কর চ্যারিটির সদস্যরা।