বিন্দু বিন্দুতেই হয় সিন্ধু! সেই মন্ত্রকে পাথেয় করেই পথচলা এখন আর একলা নয়! এখন একখানা সম্পূর্ণ মহিলা ফুটবল দল

নিজস্ব সংবাদদাতা : বিন্দু বিন্দুতেই হয় সিন্ধু! সেই মন্ত্রকে পাথেয় করেই পথচলা শুরু হয়েছিল বছর পাঁচেক আগে। হাওড়া ডোমজুড় মাকড়দহে একজন মহিলা ফুটবলার নিয়ে পথ চলা শুরু। লক্ষ্য ছিল আস্ত একটি মহিলা ফুটবল দল গড়ার। বছর পাঁচেক আগে দেখা সেই স্বপ্ন এখন ফুটে উঠেছে বাস্তবে। পাঁচ বছরে বহু ঝড়-ঝঞ্ঝা ঘাত প্রতিঘাত পেরিয়ে এখন আর একলা নয়! এখন একখানা সম্পূর্ণ মহিলা ফুটবল দল। “অদম্য ইচ্ছা, সাফল্যের চাবিকাঠি” এই বাণীকেই অন্তরে অধিষ্ঠিত করে এগিয়ে চলেছে মাকড়দহ ইউনাইটেড ফুটবল কোচিং ক্যাম্পের মহিলা ফুটবল দল।

    যিনি এই মহিলা ফুটবল দলের রসদ যুগিয়ে চলেছেন। পাঁচ বছর আগে যার দেখা স্বপ্ন আজ বাস্তবে ফুটে উঠেছে। তিনি একজন ফুটবল প্রাণ ব্যক্তি আরশাদ হোসেন। তাঁরই সুপ্ত বাসনা পূর্ণতা পাচ্ছে মাকড়দহ ইউনাইটেড ফুটবল কোচিং ক্যাম্পের মহিলা ফুটবল খেলোয়াড়দের মধ্য দিয়ে।সালটা ২০১৬-২০১৭, ফুটবল প্রশিক্ষক আরশাদ হোসেন মাত্র একজন মহিলা ফুটবল খেলোয়াড়কে নিয়ে ডোমজুড় ব্লকের মাকড়দহ রেলের মাঠে ডোমজুড় ব্লকের একমাত্র মহিলা ফুটবল কোচিং শুরু করেন পাঁচ বছর আগে।নানা প্রতিকূল প্রতিবন্ধকতার বেড়াজাল অতিক্রম করে আজ একটি সুগঠিত মহিলা ফুটবল দল তিনি তৈরি করেছেন। যা আজ ডোমজুড় ব্লকের গর্ব।

    আরশাদ হোসেন নিজেও একজন ফুটবল খেলোয়াড় হিসেবে দীর্ঘদিন সুনামের সঙ্গে খেলেছেন। এখন স্বপ্ন দেখাচ্ছেন নিম্ন মধ্যবিত্ত পরিবার থেকে উঠে আসা বেশ কিছু মহিলা ফুটবলারকে। কয়েক বছর আগে দেখা স্বপ্ন আজ বাস্তব। তাঁর হাতে তৈরি মহিলা ফুটবল দল আজ যেকোনো প্রতিযোগিতা মূলক খেলায় অংশগ্রহণ করার জন্য প্রস্তুত বলে মত প্রকাশ করেন প্রশিক্ষক আরশাদ হোসেন। মাকড়দহ ইউনাইটেড মশা ফুটবল দল ডোমজুড় ব্লক তথা হাওড়ার গর্ব।