|
---|
তফসিলি জাতি উপজাতি সংশোধনী আইন নিয়ে সাংবিধানিক বৈধতা বহাল রাখল সুপ্রিম কোর্ট
নতুন গতি ওয়েবডেস্ক: সংশোধনী আইন নিয়ে ২০১৮-র সাংবিধানিক বৈধতা বহাল রাখল সুপ্রিম কোর্টও। সোমবার শীর্ষ আদালত জানিয়ে দিয়েছে, এই আইনে মামলা রুজু হলেও যদি প্রাথমিকভাবে মনে হয় মিথ্যে অভিযোগ আনা হয়েছে, তবে গ্রেফতার করা অথবা মামলা রুজু করার আগে পুলিশ প্রাথমিক তদন্ত করে দেখতে পারে। শীর্ষ আদালত জানিয়েছে, এই আইনে মামলা দায়ের করতে প্রাথমিক তদন্ত নিষ্প্রয়োজন, অভিযুক্ত আগাম জামিন পাবেন না। তবে আদালত যদি মনে করি তবে নির্দিষ্ট কিছু ক্ষেত্রেই আগাম জামিন দিতে পারে।
সুপ্রিম কোর্টের বিচারপতি অরুণ মিশ্র, বিনীত সরণ ও রবীন্দ্র ভাটে বেঞ্চ সংশোধনী বহাল রেখে জানিয়েছে, এই আইনের অধীনে এফআইআর দায়ের করার আগে প্রাথমিক তদন্ত জরুরী নয়। এছাড়াও উর্ধ্বতন পুলিশ অফিসারের অনুমোদনেরও দরকার নেই। প্রসঙ্গত, তফশিলি জাতি/ তফশিলি উপজাতি সংশোধনী আইন, ২০১৮-র বিরুদ্ধে সুপ্রিম কোর্টে বেশ কয়েকটি পিটিশন জমা পড়েছিল। দেশের শীর্ষ আদালত স্পষ্টই জানিয়ে দিয়েছে যে, কর্মক্ষেত্রে দক্ষতার উপর পদোন্নতি নির্ভর করে। এখানে কোনও সংরক্ষণ কাজ করবে না। এটা দেশের নাগরিকদের মৌলিক অধিকারের মধ্যে পড়ে না। বিচারপতি এল নাগেশ্বরা রাও এবং বিচারপতি হেমন্ত গুপ্তার বেঞ্চ এই রায় দিয়েছে। ২০১২ সালে উত্তরখণ্ডে পূর্ত দফতরের অ্যাসিস্ট্যান্ট ইঞ্জিনিয়ার পদে পদোন্নতিতে তপশিলি জাতি, উপজাতির ক্ষেত্রে সংরক্ষণের বিরুদ্ধে করা মামলার শুনানিতে এই রায় দিয়েছে সুপ্রিম কোর্ট। ২০১২ সালে রাজ্য সরকারকে এই সংরক্ষণের নির্দেশ দিয়েছিল উত্তরাখণ্ড হাইকোর্ট।
সেইসময় বলা হয়েছিল, সরকারি চাকরিতে তপশিলি জাতি, উপজাতির সংখ্যা দেখে এই সংরক্ষণের সিদ্ধান্ত নিতে হবে। সেইসঙ্গে পরবর্তীকালে এই পদে নিয়োগের ক্ষেত্রে শুধুমাত্র তপশিলি জাতি, উপজাতিদেরই সুযোগ দেওয়ার নির্দেশও দিয়েছিল হাইকোর্ট। এরপর শীর্ষ আদালতের দ্বারস্থ হয় জেনারেল কাস্ট এর চাকুরিজীবিরা। এই মামলায় শীর্ষ আদালতের নির্দেশ, কোন আসনে কত সংরক্ষণ দেওয়া হবে সেই বিষয়টি ঠিক করতে পারে রাজ্য সরকার। কিন্তু সংরক্ষণের ক্ষেত্রে কোনও আদালত রাজ্যকে নির্দেশ দিতে পারে না। শীর্ষ আদালত জানিয়েছে, আইনে নিশ্চিত করে বলা রয়েছে কোনও রাজ্য সরকার সরকারি চাকরির ক্ষেত্রে নিয়োগে সংরক্ষণ করতে বাধ্য নয়। তপশিলি জাতি এবং উপজাতির ভিত্তিতে পদোন্নতিও করা যাবে না সরকারি চাকরিতে। কর্মদক্ষতার ভিত্তিতেই পদোন্নতি করতে হবে রাজ্য সরকারকে।