|
---|
নিজস্ব সংবাদদাতা : ১৮-এর দশকে ভারতে একটি ডাচ উপনিবেশ অধিকৃত অঞ্চল চুঁচুড়া৷ ওই সময় চুঁচুড়ায় এক ওলন্দাজ মহিলার নাম ছিল সুসানা আন্না মারিয়া। যিনি রূপের জাদুতে বস করেছিলেন ডাচ থেকে শুরু করে অনেক ইংরেজ পুরুষদের৷ ওই নারীর জীবনের উপর ভিত্তি করে সাহিত্যিক রাস্কিন বন্ড লিখেছিলেন ‘সুসানাস সেভেন হাসব্যান্ডস’।সেই কাহিনি অবলম্বনে ২০১১ সালে বিশাল ভরদ্বাজ একটি সিনেমা তৈরি করেন৷ যার নাম ‘সাত খুন মাফ’৷ ছবির মূল চরিত্রে অভিনয় করেন প্রিয়াঙ্কা চোপড়া৷ যার জীবনী নিয়ে এই ছবি৷ সেই ওলন্দাজ মহিলা সুসানা আন্না মারিয়া ১৮০৯ সালে মারা যান৷ তারপর চুঁচুড়ার খাদিনা মোড় ও তালডাঙার মাঝে জিটি রোডের পাশে সমাধিস্থ করা হয় সুসানাকে। সেই থেকে চুঁচুড়ায় আজও রয়েছে তাঁর সমাধি। যদিও অবসরে সুসানার প্রিয় বাগান ছিল আয়েশবাগ। এই আয়েশবাগ ইংরেজ ও ওলন্দাজদের কবরস্থান হিসেবে বিবেচ্য হবে বলে উইল করে যান তিঁনি। যদিও তাঁর সেই ইচ্ছা পূরণ হয়নি। তবে চুঁচুড়া মিয়ারবেড়ে ডাচ সমাধিস্থানের গোড়াপত্তন হয়। সংস্কারের জন্য বন্ধ ছিল ওলন্দাজ মহিলা সুসানা আন্না মারিয়ার সমাধিস্থান৷ সংস্কারের পর ফের তা খুলে দেওয়া হল৷ খুশি পর্যটক থেকে শুরু করে স্থানীয় বাসিন্দারা৷ ১৮০৯ খ্রিস্টাব্দে নির্মিত চারদিক খোলা তাঁর সমাধি সৌধটি ইন্দো-ইউরোপীয় স্থাপত্যের নিদর্শন। ৪ দিক থেকে সিঁড়ি উঠে গিয়েছে সৌধটিকে ঘিরে। গঠনের জন্য সৌধটিকে ডাচ-মন্দির হিসেবেও চেনেন অনেকে।সৌধটির চূড়ার মাথায় ডাচ ভাষায় খোদাই করে লেখা সুসানার নাম । ভারতীয় পুরাতত্ত্ব সর্বেক্ষণ বা কেন্দ্রীয় আর্কিওলজিক্যাল সার্ভে অফ ইন্ডিয়ার (এএসআই) এই সৌধের রক্ষণাবেক্ষণের দায়িত্বে রয়েছে৷