ভবঘুরেদের নিয়ে ভাইফোঁটা

বাবলু হাসান লস্কর, দক্ষিণ চব্বিশ পরগনা : সকলের তরে সকলে আমরা প্রত্যেকে আমরা পরের তরে। দক্ষিণ চব্বিশ পরগনার বিষ্ণুপুর থানার ভারপ্রাপ্ত আধিকারিকরা গতকাল ভবঘুরেদের জন্য নতুন ভাবনা ভাবলেন।ভবঘুরেদের নতুন পোষাক, শাল সহযোগে ফোঁটা দিলেন লেডি কনস্টেবলরা। অপর দিকে ভাইফোঁটা দিলেন স্বেচ্ছাসেবী সংগঠন গড়িয়ার “ভালোবাসার পরিবার”। মানবিকতার নজির গড়লেন ভাতৃ দ্বিতীয়ার পূর্ণ লগ্নে তাদের ভাইফোঁটার মধ্য দিয়ে। বছরের বিভিন্ন সময়ে এমনই কর্মযজ্ঞ আয়োজন করে এই সংগঠন। রাজপুর সোনারপুর পৌরসভার নিবেদিতা ভবনে ৩৩ জন ভবঘুরেদের নতুন বস্ত্র পরিয়ে ফোঁটা দানের মাধ্যমে ভালোবাসার বন্ধনে আবদ্ধ করলেন এই সংগঠনের কর্মকর্তারা। আগামী দিনগুলিতে সারাবছরই এই সমস্ত অবহেলিত ভবঘুরেদের ভালোবাসার বন্ধনে আটকে রাখতে চান তারা। সর্বদা তাদের ভরণপোষণের ব্যবস্থা গ্রহণ করবেন এমনই আশ্বাস তাদের।

     

    ইতিপূর্বে প্রাকৃতিক বিপর্যয়ে সর্বস্ব হারিয়ে পথে, সেখানে কোথাও তারা তুলে দিয়েছেন স্কুলপড়ুয়াদের পেন, পেন্সিল, স্কুল ব্যাগ থেকে বই-পত্র। কোথাও পরিবারের মুখে শুকনো খাবার থেকে নিত্য প্রয়োজনীয় সামগ্রী। কোথাও ঔষধ নানা প্রয়োজনীয় বস্তু। মুমূর্ষ রোগীর রক্তের যোগানে সর্বদা উদগ্রীব তারা। সব কিছু হারিয়ে আজ যারা সহায়-সম্বলহীন বিকলাঙ্গ যাদের দিকে দৃষ্টি নিক্ষেপ করার মানুষের অভাব, এদেরকে নিজেদের পরিবারের লোক আত্মীয়-স্বজন বন্ধু-বান্ধব ভেবেই তাদের পাশে দাঁড়ালো। আর এই কাজে সহযোগিতা করতে সুদূর উত্তরবঙ্গ থেকে এসেছেন ভবঘুরে রাজা, বাঁকুড়া হতে মুজিবর কাজি, ডায়মন্ড হারবার থেকে পিন্টু ঘোষ, বাপি সাহ, শুভেন্দু বোস, ইসলাম, রায়দিঘি থেকে রাখি ঘোষ , সোনারপুর থেকে দেবাশীষ দাস, গোসাবা থেকে অক্সিজেন ম্যান সৌমিত্র মন্ডল । উক্ত অনুষ্ঠানের মধ্য দিয়ে যে সমস্ত পরিবার থেকে বিচ্ছিন্ন ভালোবাসা পাবার মত যাদের কেউ নেই, সেই সমস্ত ভবঘুরেদের নিজেদের পরিবারের সদস্য করে নিলেন এই সংগঠন কর্ণধার অসীমা দে।