জলজ উদ্ভিদদের নিয়ে এবার একটি সম্পূর্ণ আলাদা সেকশন গড়ে উঠল হাওড়ার আচার্য জগদীশচন্দ্র বসু বোটানিক্যাল গার্ডেনে

নিজস্ব সংবাদদাতা : জলজ উদ্ভিদদের নিয়ে এবার একটি সম্পূর্ণ আলাদা সেকশন গড়ে উঠল হাওড়ার আচার্য জগদীশচন্দ্র বসু বোটানিক্যাল গার্ডেনে। শুক্রবার হাওড়ার বোটানিক্যাল গার্ডেনে এই অ্যাকুয়াটিক প্ল্যান্ট সেকশনের উদ্বোধন করেন কেন্দ্রীয় বন, পরিবেশ ও জলবায়ু পরিবর্তন মন্ত্রী ভূপেন্দ্র যাদব। বোটানিক্যাল গার্ডেনের প্রায় ৫০ হাজার বর্গফুট এলাকা জুড়ে থাকা একটি জলাশয়ে এই অ্যাকুয়াটিক প্ল্যান্ট সেকশন চালু করা হয়েছে। সহস্র দল পদ্ম সহ ৮০ টিরও বেশি প্রজাতির পদ্ম ও অন্যান্য বৈচিত্র্যময় জলজ উদ্ভিদ রয়েছে ওই জলাশয়ে। জলাশয়টিকে বিভিন্নভাবে সাজিয়ে তোলা হয়েছে। এই অ্যাকুয়াটিক প্ল্যান্ট সেকশনের মূল আকর্ষণ ওয়াটার লিলি। উল্লেখ্য, ‘আজাদী কা অমৃত মহোৎসব’ এবং ‘ডিজিটাল ইন্ডিয়া’ এর অধীনে বোটানিক্যাল সার্ভে অফ ইন্ডিয়া দেশের বৃহত্তম অনলাইন হার্বেরিয়াম ডেটাবেজ তৈরি করেছে।আচার্য জগদীশ চন্দ্র বসু ভারতীয় উদ্যান, এই উদ্যানে মোট ১৪০০ প্রজাতির প্রায় ১৭০০০ টি গাছ রয়েছে। উদ্যানটির আয়তন প্রায় ২৭০ একর। এই বোটানিক্যাল গার্ডেনের সর্বাপেক্ষা উল্লেখযোগ্য বা আকর্ষণ হল বিশাল বটো বৃক্ষ, প্রায় ২৫০ বছর প্রাচীন বিশাল বট বৃক্ষ। গাছটির প্রধান মূল কোনটি এখন আর তা বোঝার উপায় নেই।বোটানিক্যাল গার্ডেন রয়েছে সাল সেগুন মেহগনি বট অশ্বত্থ শিমুল দারুচিনি লবঙ্গ রাবার নানা প্রজাতির পাম গাছ ও নানা প্রকার ঔষধি গাছ সহ বহু গাছ। উদ্ভিদ উদ্যান মূলত গবেষণা, পর্যবেক্ষণ ও জ্ঞান লাভের ক্ষেত্র। বর্তমানে বোটানিক্যাল গার্ডেন ভারত সরকারের পরিবেশ ও বন ও মন্ত্রকের অধীনে। এই উদ্যানের নাম ছিল রয়েল ইন্ডিয়ান বোটানিক্যাল গার্ডেন।স্বাধীনতা পরবর্তী সময় ১৯৬৩ সালে এই উদ্যানের নাম পরিবর্তন করে রাখা হয় ইন্ডিয়ান বোটানিক্যাল গার্ডেন। ২০০৯ সালে ২৫ শে জুন বিশিষ্ট বিজ্ঞানী আচার্য জগদীশচন্দ্র বসুর জন্মসার্ধশতবর্ষ উপলক্ষে তার নাম অনুসারে এই উদ্যানের নামকরণ করা হয় আচার্য জগদীশচন্দ্র বসু বোটানিক্যাল গার্ডেন।