তৃণমূলের গোষ্ঠীদ্বন্দ্বে ভাঙচুর দলীয় কার্যালয় শান্তিপুরের ভাঙচুর, নেতাজির মূর্তি মাটিতে

 

    নিজস্ব প্রতিবেদক, নতুন গতি, নদীয়া; বিধায়ক অরিন্দম ভট্টাচার্য দলত্যাগ করার পর, শান্তিপুর শহর তৃণমূল কংগ্রেসের সভাপতি অরবিন্দ মৈত্র, অন্যান্য সমস্ত তৃণমূল কর্মীদের একত্রিত করে অত্যন্ত উদ্দীপনার সাথে সকলকে জনসংযোগ কর্মসূচির মাধ্যমে দলের শ্রীবৃদ্ধির চেষ্টা করছেন। এ বিষয়ে তারঁ সহযোগী হিসাবে সর্বক্ষণের সঙ্গী হিসাবে নদীয়া জেলা যুব তৃণমূল কংগ্রেসের সহ-সভাপতি সৌমিত প্রামাণিকে দেখা যায়। সৌমিত বেশ কিছুদিন পূর্বে তৃণমূলছাত্র পরিষদ করার সুবাদে মনোজ সরকারের ঘনিষ্ঠ বলে পরিচিত ছিলো। বেশ কিছুদিন আগে সে মনোজের সংস্পর্শ ত্যাগ করে অরবিন্দ মৈত্রর ঘনিষ্ঠ হয়। সেই থেকেই বৈষম্য শুরু হয় । গতকাল রাতে সৌমিতের বাসভবনে রাত দশটা নাগাদ, চার-পাঁচজন বোম এবং আগ্নেয় অস্ত্র নিয়ে তাকে মারার চেষ্টা করে, এ ব্যাপারে তাৎক্ষণিক একটি স্ট্যাটাস দেয় সে। এরপর আজ দুপুর বারোটা নাগাদ শান্তিপুর তৃণমূল ভবনে সভাপতি অরবিন্দ মিত্র এবং অপর এক সদস্য বসে আগামী কালকের জনসংযোগ যাত্রার উদ্দেশ্যে কর্মীদের ফোন করছিলেন। হঠাৎই আসে সৌমিত এবং অপর এক যুব কর্মী রক্তাক্ত অবস্থায় ঢুকে পড়ে তৃণমূল ভবনের তার ঘরে। পেছনে দেখা যায় মনোজ সরকার এবং তার 14- 15 জন সহযোগী তাড়া করে ওই ঘরের প্রবেশ করে বেধড়ক মারতে থাকে। অরবিন্দ মৈত্র ঠেকাতে গেলে ,তাকেও ধাক্কাধাক্কি করা হয় এমনকি হুমকি দেওয়া হয় এই ঘটনা জেলা নেতৃত্ব কাছে পৌঁছালে তাকেও প্রানে মেরে দেওয়া হবে। এরপর ঘর থেকে বেরোনোর সময় 4-5 টি চেয়ার, টেবিল এবং নেতাজির ছবি মাটিতে ফেলে দেওয়া হয়।

    ভাঙচুর টেবিল চিয়ার

    এ বিষয়ে অরবিন্দ মৈত্র সরাসরি, মনোজ সরকারের নাম করে বলেন, একাধিকবার বিভিন্ন অসামাজিক কর্মকাণ্ডে জড়িয়েছে তার নাম, দলের এসসি এসটি ওবিসি সংগঠনের শান্তিপুরের সভাপতি হিসাবে স্বঘোষিত নেতা বলে দাবি করলেও, জেলা সভাপতি মহুয়া মৈত্র তার সম্পর্কে আগেই সাবধান করেছিলো আমাদের। তবুও এ কথা অমান্য করে, কেউ কেউ যোগাযোগ রেখে চলেছে ব্যক্তিস্বার্থে। এ ব্যাপারে দল নিশ্চয়ই যথাযথ ব্যবস্থা নেবে বলেই আমার বিশ্বাস। আগামীকালকে পদযাত্রায় মন্ত্রী উজ্জ্বল বিশ্বাস আসার প্রাক্কালে এ ধরনের ঘটনা অত্যন্ত ধিক্কারজনক। তবে সৌমিতের পরিবার থেকে শান্তিপুর থানায় লিখিত অভিযোগ জমা দেবে।
    গুরুতর জখম হয়ে সৌমিতকে অচেতন অবস্থায় রাস্তার পাশে রক্তাক্ত অবস্থায় পড়ে থাকতে দেখে, এলাকাবাসী শান্তিপুর স্টেট জেনারেল হাসপাতালে নিয়ে গেলে, সাথে সাথে তাকে কৃষ্ণনগর শক্তিনগর হাসপাতালে স্থানান্তর করেন । এখনো পর্যন্ত সৌমিকের শারীরিক অবস্থার উন্নতি ঘটেনি বলেই জানা যায় হাসপাতাল সূত্রে।