|
---|
মালদা ২৮মে: ২০১৭ সালে ভয়াবহ বন্যা হয়েছিল উত্তরবঙ্গ তথা মালদা জেলায়। চাষের জমি থেকে বাড়িঘর ক্ষয়ক্ষতি হয়েছিল প্রচুর। আর সেই ভয়ানক বন্যার স্মৃতি যেন আবারো উস্কে উঠছে মানুষের মনে। যশ ঘূর্ণিঝড়ের প্রভাবে দুদিন যাবত তুমুল বৃষ্টি মালদা জেলা জুড়ে। বৃষ্টির ফলে বেড়েছে নদীর জলস্তর। তৈরি হয়েছে বিভিন্ন জায়গায় বন্যা পরিস্থিতি। মালদহের হরিশ্চন্দ্রপুর ১ এবং ২ নং ব্লকের বিভিন্ন জায়গায় তৈরি হয়েছে বন্যা পরিস্থিতি। ফুঁসছে ফুলহার এবং মহানন্দা নদী। জল চাষের জমিতে। মাথায় হাত চাষিদের। হরিশ্চন্দ্রপুরের যে এলাকাগুলিতে বন্যা পরিস্থিতির সৃষ্টি হয়েছে এদিন সেই এলাকাগুলো ঘুরে দেখলেন মালদা জেলা তৃণমূলের সাধারণ সম্পাদক বুলবুল খান। সঙ্গে অসহায় চাষীদের পাশে দাঁড়ালেন। ত্রিপল এবং পোশাক বিতরণ করলেন।
উল্লেখ্য,হরিশ্চন্দ্রপুরের ভিঙ্গল,মালিওর ১,কুশিদা, সুলতাননগর,ভালুকা,কড়িয়ালি বিভিন্ন জায়গায় অতি ভারী বৃষ্টির ফলে তৈরি হয়েছে বন্যা পরিস্থিতি।যদি বৃষ্টি না থামে সেক্ষত্রে ২০১৭’র মতো ফের পরিস্থিতি সৃষ্টি হতে পারে বলে আশঙ্কা করছেন স্থানীয়রা।কুশিদা গ্রাম পঞ্চায়েতের অন্তর্গত মহানন্দা মাস্টারপ্ল্যান বাঁধের অবস্থা বিপদজনক।ফুঁসছে মহানন্দা নদী।যে কোনো মুহূর্তে ভেঙে যেতে পারে বাঁধ। সেক্ষেত্রে প্লাবিত হতে পারে কুশিদা গ্রাম পঞ্চায়েতের বিস্তীর্ণ এলাকা। এদিকে জল বাড়ছে ফুলহার নদীতেও। হরিশ্চন্দ্রপুর ২ ব্লকের তেলচান্না সুইচগেটের পরিস্থতিও ভয়াবহ।এই পরিস্থিতিতে সব থেকে খারাপ অবস্থা চাষীদের। ধানের জমি,পাটের জমি জলে ডুবে গেছে। এদিন তৃণমূল নেতা বুলবুল খান এই এলাকাগুলিতেই যান। স্থানীয়দের সঙ্গে কথা বলে পরিস্থিতির খোঁজ নেন। সঙ্গে চাষীদের ত্রিপল এবং বস্ত্র বিতরণ করেন। প্রশাসনের সঙ্গে কথা বলে প্রশাসনিক সাহায্যের আশ্বাস দিয়ে যান।
বুলবুল খান বলেন,” গতকাল থেকেই আমরা হরিশ্চন্দ্রপুরের বিভিন্ন এলাকা ঘুরছি। জল জমে ভয়াবহ অবস্থা। গরিব মানুষদের অবস্থা খুব খারাপ। তাই তাদের পাশে দাঁড়িয়ে ত্রিপল এবং বস্ত্র বিতরণ করলাম। বিডিও কে সব জানানো হবে। সমস্ত প্রধানদের নিয়ে আজ একটি বৈঠক হবে। এছাড়াও আমি আমার তৃণমূল নেতৃত্বদের অনুরোধ করবো সকলে যাতে এই সময় মানুষের পাশে থাকে।”
একে করোনা আবহে চলছে লকডাউন। এমনিতেই গরীব মধ্যবিত্ত মানুষদের অবস্থা খারাপ। তার ওপর ভারী বৃষ্টিতে বন্যা পরিস্থিতি। যেন এক দুর্বিষহ অবস্থা।