টোটো ও স্করপিও গাড়ির মুখোমুখি সংঘর্ষের জেরে মর্মান্তিক এক পথ দুর্ঘটনায় মৃত্যু হল টোটো চালক ও টোটোতে থাকা অপর এক ব্যক্তির

নিজস্ব সংবাদদাতা :টোটো ও স্করপিও গাড়ির মুখোমুখি সংঘর্ষের জেরে মর্মান্তিক এক পথ দুর্ঘটনায় মৃত্যু হল টোটো চালক ও টোটোতে থাকা অপর এক ব্যক্তির। মৃত ওই টোটো চালকের নাম বাদল দাস (৪৭), ও মৃত অপর ব্যক্তির নাম রবীন্দ্রনাথ সোম (৫৭) এদের দুজনেরই বাড়ি দক্ষিণ দিনাজপুর জেলার গঙ্গারামপুর থানার অন্তর্গত মহারাজপুর ও নীলডাঙ্গা বিজিপাড়াতে। জানা গেছে, মঙ্গলবার সাতসকালে গঙ্গারামপুর থেকে টোটো করে টোটো চালক বাদল দাস ও যাত্রী তথা অপর ব্যক্তি রবীন্দ্রনাথ সোম দক্ষিণ দিনাজপুর জেলার বুনিয়াদপুর সরাইহাট যাচ্ছিলেন। ওই সময় বংশীহারী ডিটলহাট এলাকায় শ্মশান সংলগ্ন মালদা বালুরঘাট ৫১২ নং জাতীয় সড়কে উল্টো দিক থেকে বালুরঘাটগামী স্করপিও গাড়ি এসে টোটকে ধাক্কা মারলে গুরুতর জখম হয় টোটো চালক ও যাত্রী। স্থানীয়রা সাত সকালে দুর্ঘটনার বিকট শব্দ শুনতে পেয়ে দৌড়ে ছুটে এসে আহতদের উদ্ধার করে বুনিয়াদপুর রশিদপুর প্রাথমিক স্বাস্থ্য কেন্দ্রে পাঠায়। এরপর টোটো চালক বিপুল দাস ও যাত্রী রবীন্দ্রনাথ সোমের অবস্থার অবনতি হলে তড়িঘড়ি তাদের গঙ্গারামপুর সুপার স্পেশালিটি হাসপাতালে স্থানান্তরিত করা হয়। সেখানে কর্তব্যরত চিকিৎসকরা ওই দুজনকে মৃত বলে ঘোষণা করেন। এরপর গঙ্গারামপুর থানার পুলিশ এসে দেহ দুটি উদ্ধার করে গঙ্গারামপুর থানায় নিয়ে আসে। এবং পরবর্তীতে বালুরঘাট হাসপাতালে ময়না তদন্তের জন্য পাঠিয়ে ও ঘাতক গাড়িটির তল্লাশি শুরু করার পাশাপাশি ঘটনার তদন্ত শুরু করেছে গঙ্গারামপুর থানার পুলিশ। এ প্রসঙ্গে, মৃত রবীন্দ্রনাথ সোমের এক আত্মীয় জানান, ” মঙ্গলবার সরাইহাটে হাটের মাল কেনার জন্য টোটো করে যাচ্ছিলেন রবীন্দ্রনাথ সোম।ওই সময় বংশীহারী ডিটলহাট শ্মশান এলাকায় জাতীয় সড়কে উল্টো দিক থেকে বালুরঘাটগামী এক স্করপিও গাড়ি এসে টোটোর মুখোমুখি ধাক্কা মারলে ঘটনাস্থলে গুরুতর জখম হয় টোটো চালক ও রবীন্দ্রনাথ সোম, স্থানীয়রা তাদের উদ্ধার করে প্রথমে রশিদপুর গ্রামীণ হাসপাতাল ও পরে অবস্থার অবনতি হলে গঙ্গারামপুর সুপার স্পেশালিটি হাসপাতালে নিয়ে আসলে দুজনকে ডাক্তার মৃত বলে ঘোষণা করেন। আমরা ঘাতক ঐ গাড়িটির নম্বর পেয়েছি এবং গঙ্গারামপুর থানার পুলিশকে বিষয়টি জানিয়েছি পুলিশ ঘাতক গাড়িটির তল্লাশি শুরু করেছে এবং ঘটনার তদন্ত শুরু করেছে”। সাতসকালে মর্মান্তিকে দুর্ঘটনার জেরে মৃত ব্যক্তিদের পরিবার ও এলাকায় শোকের ছায়া নেমে এসেছে।