|
---|
পল মৈত্র, দক্ষিন দিনাজপুরঃ দক্ষিন দিনাজপুর জেলার বুনিয়াদপুর পৌরসভা এলাকায় দিনকে দিন অনিয়ন্ত্রিত ভাবে বেড়েই চলেছে টোটোর সংখ্যা, আর তার সাথে পাল্লা দিয়ে বাড়ছে টোটোর দৌরাত্ম্য ৷ এই পৌরসভার দেড় বছর অতিক্রান্ত হলেও আজ পর্যন্ত এই অনিয়ন্ত্রিত ভাবে বাড়তে থাকা টোটোর কোনও ব্যবস্থা নেওয়া হয়নি বলে অভিযোগ ৷
উল্লেখ্য, ২০১৭ সালে পৌরসভা শহর হিসাবে গঠন হয় বুনিয়াদপুর ৷ কিন্তু এখনও পর্যন্ত টোটো নিয়ে কেউ কোনও চিন্তা ভাবনা করেনি ৷ আর টোটোর দৌরাত্ম্যের জেড়ে অতিষ্ঠ হয়ে এই অভিযোগ তুলে সরব হয়েছেন এলাকার বাসিন্দারা সহ বিশিষ্টরাও ৷ বুনিয়াদপুর পৌরসভার ৫১২ নং রাজ্য সড়কে প্রতিদিন প্রচুর টোটো চলার জন্য রাস্তায় যানজটের সৃষ্টি হয় ৷ এরফলে সমস্যায় পড়েন পথচলতি মানুষ থেকে শুরু করে বাসিন্দারা ৷ এলাকাবাসীদের একাংশের অভিযোগ পৌরসভার বিরুদ্ধে করে বলেন, চেয়ারম্যান অখিল বর্মণকে এই বিষয়ে জানানো সত্ত্বেও কোনও সুরাহা হয়নি।
পৌরসভার ৩ নং নম্বর ওয়ার্ডের বাসিন্দা পেশায় শিক্ষক সমীর সরকার বলেন, পৌরসভা হওয়ার পর বুনিয়াদপুর জুড়ে রিকশার বদলে টোটো আসার ফলে অনেক সুবিধার পাশাপাশি অসুবিধাও হয়েছে , অসুবিধাটাই সবথেকে বেশি হয়েছে, কারণ প্রতিদিনই অসংখ্য টোটো চলার জন্য রাস্তায় যানজটের সৃষ্টি হয় ৷ প্রশাসন থেকে আজ পর্যন্ত কোনও ব্যবস্থা নেয়নি, অবিলম্বে অনিয়ন্ত্রিত টোটো গুলির দৌরাত্ম্য রুখতে পৌরসভার পক্ষ থেকে পদক্ষেপ গ্রহন করতে কতৃপক্ষের কাছে আবেদন জানাই , তিনি আরো বলেন, পৌরসভার উচিৎ প্রতিটি টোটোকেই নম্বর দিয়ে দেওয়া হোক , তাতে করে টোটো চালকরা যাত্রীদের সাথে খারাপ ব্যবহার করলে অভিযোগ জানানোর জন্য লাইসেন্স নম্বর দেখে অভিযোগ করা সম্ভব হবে৷ কিন্তু পৌরসভা থেকে যদি এই লাইসেন্সের কোনও ব্যবস্থা না করে তাহলে রাস্তায় কোনও বিপদ হলে আমরা কাকে অভিযোগ জানাব? অতিসত্বর পৌরসভার পক্ষ থেকে পদক্ষেপ গ্রহন করা হোক।
সর্বশেষে বুনিয়াদপুর পৌরসভার চেয়ারম্যান অখিল বর্মণ বলেন, খুব তাড়াতাড়ি একটি আলোচনা সভার আয়োজন করে এই নিয়ে দ্রুততার সাথে কী ব্যবস্থা করা যায় তার অদম্য চেষ্টা করছি।
অন্যদিকে, টোটোর দৌরাত্ম্যে নাজেহাল এলাকাবাসীরা সমস্যা সমাধানের অপেক্ষায় দিন গুনছেন।