বাঁদরের বাদরামীতে অতিষ্ট জলপাইগুড়ির পাতাকাটা কলোনি এলাকা

জলপাইগুড়ি: বাঁদরের বাদরামীতে অতিষ্ট জলপাইগুড়ির পাহাড়পুর গ্রাম পঞ্চায়েতের অধীন পাতকাটা কলোনি এলাকা। শুক্রবার সকাল থেকেই জঙ্গল থেকে বেড়িয়ে শয়ে শয়ে বাঁদর ঢুকে অত্যাচার শুরু করে এলাকায়। কারো বাড়ির কার্নিশে আবার কোনো কোনো বাড়ির ঘরের ভিতরে ঢুকে জিনিসপত্র নষ্ট করার পাশাপাশি রান্নাঘরে ঢুকে খাবারও নষ্ট করে ফেলছে বলে জানান স্থানীয় বাসিন্দা পার্থ কর্মকার। বাঁদরের উপদ্রব থেকে রেহাই পেতে তারা শরনাপন্ন হয়েছেন বনদফতরে। খবরপেয়ে ঘটনাস্থলে এসে বনকর্মীরা বাঁদর ধরে জঙ্গলে ফেরানোর উদ্যোগ নিয়েছে। বাঁদরগুলো ডেঙ্গুয়াঝার চা বাগান এলাকা থেকে খাবারের সন্ধানে লোকালয়ে এসেছে বলে জানা গেছে। বাঁদরের দল রীতিমতো এলাকায় তাণ্ডব চালিয়ে যাচ্ছে। আর এতেই অতিষ্ঠ হয়ে পড়েছে এলাকাবাসী।তাদের অভিযোগ যখন তখন ঘরে ঢুকে খাবার নষ্ট করা,বয়ষ্ক এবং বাচ্চাদের বিরক্ত করা যেকোন দরকারি জিনিস ফেলে দেওয়া থেকে আরম্ভ করে জামাকাপড় তুলে নিয়ে যাওয়া সবধরনের অত্যাচার শুরু করে দিয়েছে ওই বানর বাহিনী।বাদর বাহিনীর অত্যাচারে বিরক্ত হয়ে এলাকাবাসীরা লিখিত চিঠি জমা দিয়েছেন ওয়ার্ড কোয়ার্ডিনেটারের কাছে।কেউ বুঝতে পারছেন না ঠিক কার কাছে গেলে কাজ হবে।কেন এই অত্যাচার খাবারের কারনে বা অন্য কোন কারনে বুঝে উঠতে পেরে উঠছেন না কেউই।গোটা জলপাইগুড়ি জুড়ে চলছে বাদরের অত্যাচার আর তাতেই অতিষ্ঠ হয়ে উঠেছেন জলপাইগুড়ির মানুষ।

    এক মহিলা তার বাচ্চাদের নিয়ে বাইরে বের হওয়া মাত্রই বাদরগুলি ওই মহিলার হাত থেকে ব্যাগ ছিনিয়ে নিয়ে চলে যায়,ওই মহিলার অভিযোগ তিনি তার আত্মীয়ের বাড়ি যাচ্ছিলেন কিছু দরকারি কাজে,তিনি যখন বাড়ির থেকে বের হন কিছু বোঝার আগেই বাদরগুলি তার হাতের ব্যাগটি ছিনিয়ে নিয়ে চলে যায়,ওই ভদ্রমহিলা চিৎকার করেও কিছু করতে পারেন নি।এইভাবেই দিনের পর দিন জলপাইগুড়িতে বেড়ে চলেছে বাদরের অত্যাচার।যা থেকে মুক্তির রাস্তা পাচ্ছেন না জলপাইগুড়ি শহরের মানুষ।