কেন্দ্রীয় বাজেটে শিক্ষা খাতে বরাদ্দ কমিয়ে দেওয়া অপ্রত্যাশিত ও দুঃখজনক: এসআইও

নতুন গতি ওয়েব ডেস্ক: কেন্দ্রীয় অর্থমন্ত্রী নির্মলা সীতারমন সংসদে ২০২১-২২ সালের জন্য দেশের আর্থিক বাজেট পেশ করেছেন। করোনা আবহাওয়া এবং লকডাউনের ফলশ্রুতিতে কাজ হারানো অসংখ্য যুবক ব্যাপক প্রত্যাশা নিয়ে এই বাজেটের দিকে তাকিয়ে ছিল। কিন্তু খুবই দুঃখজনকভাবে ছাত্র-যুবকদের কোন দিশা না দেখিয়ে এই বাজেটে বেসরকারীকরণের উপর গুরুত্ব দেওয়া হয়েছে। একটি জনকল্যাণকর রাষ্ট্রের ধারণা দূরে সরিয়ে রেখে সম্পূর্ণ বেসরকারিকরণের নীতি এই বাজেটে স্পষ্ট লক্ষ্য করা গেছে। স্টুডেন্টস ইসলামিক অর্গানাইজেশন অফ ইন্ডিয়া, পশ্চিমবঙ্গ শাখা এই বাজেটকে দিশাহীন ও দুঃখজনক বলে আখ্যায়িত করেছে।

    উল্লেখ্য যে, এই বাজেটে শিক্ষা খাতে খরচ গত বছরের ৯৯.৩৩১ কোটি থেকে কমিয়ে ৯৩.২২৫ করা হয়েছে যা মোট আর্থিক বরাদ্দের মাত্র ২.৬৮ শতাংশ। সংগঠনের রাজ্য সভাপতি সাবির আহমেদ একটি বিবৃতিতে বলেছেন, দেশের শিক্ষা খাতে বরাদ্দ কমিয়ে ফেলা একটি দেশের মানবসম্পদ উন্নয়নের পক্ষে আন্তরায়। অন্যদিকে ন্যাশনাল ডিজিটাল এডুকেশন আর্কিটেকচর গড়ে তোলার কথা বলে হলেও এই প্রতিষ্ঠান তৈরির রূপরেখা, নির্ধারিত সময় এবং বরাদ্দকৃত খরচের বিষয়ে কিছু স্পষ্ট করা হয়নি। তিনি আরও বলেন, স্কলারশিপ ও ফেলোশিপ প্রদানে বরাদ্দকৃত অর্থের বিশেষ কোন বৃদ্ধি ঘটেনি যা, পূর্বের মতই পরিকল্পিতভাবে শিক্ষার সহজলভ্যতাকে কঠিন করে দেওয়ার এক চক্রান্ত। এছাড়াও পূর্বে শুরু হওয়া ‘স্কিল ইন্ডিয়া’ বর্তমানে আকাশ ছোঁয়া বেকারত্বের মাঝে কেন্দ্রীয় অর্থমন্ত্রীর বাজেট পেশকালীন বক্তব্যে স্থান পায়নি। রাজ্য সভাপতি সাবির আহমেদ এই বিষয়ে ক্ষোভ প্রকাশ করে মন্তব্য করেন, এই বাজেটের মাধ্যমে সরকার প্রকৃত উন্নয়ন নয়, বরং প্রচারের আলোয় আসতে চেয়েছে।