গজলডোবা এবং শিলিগুড়ির কাছে ফারাবাড়ি থেকে ৩টি ক্যাঙারু শাবক উদ্ধার হয়

নিজস্ব প্রতিবেদক:- শুক্রবার রাতে গজলডোবা এবং শিলিগুড়ির কাছে ফারাবাড়ি থেকে ৩টি ক্যাঙারু শাবক উদ্ধার হয়। এর পরে শনিবার সকাল হতেই ফারাবাড়ির নেপালিবস্তি এলাকা থেকে একটি মৃত ক্যাঙারু শাবক উদ্ধার করেন বন দফতরের কর্মীরা। ক্যাঙারু শাবকের মৃত্যু কী ভাবে হল, তা খতিয়ে দেখা হবে। এ দিন সকালে ক্যাঙারু দেখতে ভিড় জমে যায় ঘটনাস্থলে। পরে ময়নাতদন্তের জন্য ক্যাঙারুর দেহটি পাঠানো হয় বেঙ্গল সাফারিতে। শুক্রবার উদ্ধার হওয়া তিন ক্যাঙারু শাবক অসুস্থ থাকায় বেঙ্গল সাফারি পার্কে চিকিৎসা চলছে। সেখানে চিকিৎসকের নজরদারিতে রাখা হয়েছে শাবকগুলিকে।শুক্রবার রাতে গজলডোবার কাছে ক্যানাল রোড থেকে ২টি ও ফারাবাড়িতে একটি ক্যাঙারু শাবক উদ্ধার হয়। উদ্ধারের সময় শাবকগুলি দুর্বল অবস্থায় ছিল। পরে বনকর্মীরা খাবার ও জল দেন। কিন্তু তিনটি ক্যাঙারু উদ্ধারের ১২ ঘণ্টার মধ্যে ফের একটি মৃত ক্যাঙারু উদ্ধার হতেই চিন্তায় পড়েছেন বন দফতরের কর্মীরা। প্রায় এক মাস আগেই বারোবিশা এলাকায় ধরা পড়েছিল ক্যাঙারু। সেই সময় গ্রেফতার হয় দুই অভিযুক্ত। শুক্রবার রাতে গজলডোবা এবং ফারাবাড়ি এলাকা থেকে তিনটি পূর্ণ বয়স্ক ক্যাঙারু উদ্ধার ঘটনায় প্রশ্ন উঠেছে, তা হলে কি মিজোরামের অবৈধ ক্যাঙারু প্রজনন কেন্দ্র থেকে সেগুলি শিলিগুড়ি-জলপাইগুড়িকে করিডর হিসেবে ব্যবহার করে নেপালের দিকে পাচার হচ্ছিল? বন দফতরের আধিকারিকেরা জানান, তাঁরা এ বার কাউকে ধরতে পারেননি ঠিকই, কিন্তু পুরনো অপরাধের সূত্র ধরেই বৈকুণ্ঠপুরের কর্তারা ক্যাঙারু-কাণ্ডের কিনারা করতে চাইছেন।এ দিন সকালে দেখা যায়, ক্যাঙারুটিকে কিছু কুকুর ঘিরে রেখেছিল। সে সময় তা দেখতে পান স্থানীয়রা। এর পর ডাবগ্রাম রেঞ্জে খবর দেওয়া হলে বনকর্মীরা এসে দেহটি উদ্ধার করে নিয়ে যান।ফারাবাড়ির বাসিন্দাদের কথায়, “শুক্রবার রাতে এলাকার কিছু কুকুর একটি ক্যাঙারু শাবককে ধাওয়া করছিল। সে সময় সেটি চোখে পড়ে। এর পরই উদ্ধার করা হয়। হয়তো দুর্বল হয়ে পড়ায় ক্যাঙারু শাবকটির মৃত্যু হতে পারে।’’অন্য দিকে, অসুস্থ তিন ক্যাঙারু শাবককে স্যালাইন দেওয়া হয়েছে। বেশ কয়েক দিন শাবকগুলি কিছু খায়নি বলে মনে করা হচ্ছে। উদ্ধারের আগে জঙ্গলে ছুটোছুটির কারণে আরও দুর্বল হয়ে পড়েছে সেগুলি, জানান বেঙ্গল সাফারির এক আধিকারিক। আগামী কয়েক দিন শাবকগুলিকে পর্যবেক্ষণে রাখা হবে বলে বেঙ্গল সাফারি পার্ক সূত্রে খবর। এর পর সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে শাবকগুলিকে কোথায় পাঠানো হবে। শনিবার বনমন্ত্রী জ্যোতিপ্রিয় মল্লিক জানান, “আপাতত শাবকগুলি বেঙ্গল সাফারি পার্কে রয়েছে। সুস্থ থাকলে সেগুলিকে বেঙ্গল সাফারির জঙ্গলে ছাড়া হবে। না হলে দার্জিলিং কিংবা কলকাতার আলিপুর চিড়িয়াখানায় পাঠানো হবে।”