৪৫ তম বর্ধমান বইমেলার উদ্বোধন করলেন প্রতুল মুখোপাধ্যায়।

লুতুব আলি :  বর্ধমান পায়ে পায়ে ৪৫ বছরে পদার্পণ করল ঐতিহ্যের বর্ধমান বইমেলা। বর্ধমান অভিযান গোষ্ঠীর পরিচালনায় ৬ জানুয়ারি বর্ধমান উৎসব ময়দানে এই বইমেলার উদ্বোধন করেন বিশিষ্ট গীতিকার সুরকার ও গায়ক প্রতুল মুখোপাধ্যায়। তাঁর লেখা বিখ্যাত গান : আমি বাংলার গান গাই… প্রতুল মুখোপাধ্যায় নিজের কন্ঠে গিয়ে সকলকে মুগ্ধ করে দেন। বইমেলার শুভ সূচনার প্রারম্ভে প্রতিভা কালচারাল সেন্টারের কর্ণধার পিয়ালী ঘোষের পরিচালনায় নৃত্যানুষ্ঠান প্রশংসার দাবি রাখে। স্বাগত ভাষণ দেন বইমেলা কমিটির সাধারণ সম্পাদক শ্যামল চক্রবর্তী। প্রতুল মুখোপাধ্যায় বলেন, মাতৃভাষা রক্ষা করার জন্য বাঙ্গালীদের বলিদান পৃথিবীর ইতিহাসে বিরল দৃষ্টান্ত। আবার অন্যদিকে এক ধরনের বাঙালি যারা বাংলা ভাষাকে তুচ্ছ তাচ্ছিল্য করেন সে ব্যাপারেও তিনি উদ্বেগ প্রকাশ করেন। বইমেলার বিশিষ্ট অতিথি কলকাতা আন্তর্জাতিক বই মেলা কমিটির সম্পাদক ত্রিদিব চট্টোপাধ্যায় বলেন, বর্ধমান বইমেলার সঙ্গে তিনি গোড়া থেকেই ওতপ্রোতভাবে যুক্ত আছেন। কলকাতার পর মফস্বল জেলা বর্ধমান বইমেলা প্রায় পঞ্চাশ বছর ধরে বইমেলা চালিয়ে আসছে তা খুব অত্যন্ত গর্বের বিষয়। নেট দুনিয়াতেও বই যে কতটা জরুরী তা বইমেলা গুলির জনসমাগমই তার পরিচয় দেয়। অনুষ্ঠানে বক্তব্য রাখেন বিশিষ্ট কবি প্রসূন ভৌমিক, বর্ধমান দক্ষিণ বিধানসভা কেন্দ্রের বিধায়ক খোকন দাস, পূর্ব বর্ধমান জেলা পরিষদের সভাধিপতি তথা রায়নার বিধায়ক শম্পা ধারা, অতিরিক্ত জেলা শাসক সুপ্রিয় অধিকারী, পূর্ব বর্ধমান জেলার তথ্য সংস্কৃতি আধিকারিক রামশঙ্কর মন্ডল, সহ-সভাপতি দেবু টুডু, বর্ধমান পৌরসভার চেয়ারম্যান পরেশ সরকার, বইমেলা কমিটির সভাপতি স্বপন কুমার ভট্টাচার্য প্রমুখ। এই বইমেলায় প্রতিবছরই দেবপ্রসন্ন পুরস্কার প্রদান করা হয়। এবারে দেবপ্রসন্ন পুরস্কার পেয়েছে স্বেচ্ছাসেবী সংস্থা স্পিড। এই বইমেলার কলকাতার নামিদামি প্রকাশকদের স্টল বসেছে। এছাড়াও জেলার লিটল ম্যাগাজিন, জেলার প্রকাশকেরা ও স্থান পেয়েছেন। বইমেলা চলবে ১৫ জানুয়ারি পর্যন্ত। বিভিন্ন দিনে থাকছে সভা, সেমিনার, কবিতা উৎসব, স্থানীয় এবং বহিরাগত শিল্পীদের নিয়ে সান্ধ্যকালীন অনুষ্ঠানে মনোজ্ঞ সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান। উদ্বোধনী অনুষ্ঠান সূচারু ভাবে সঞ্চালনা করেন বইমেলা কমিটির পুরোধা নিরুপম চৌধুরী।