বাংলাদেশের ছোট পর্দার বড় নায়ক কামরুল বাহার জনপ্রিয়তার তুঙ্গে।

লুতুব আলী : বাংলাদেশের রুপালি পর্দার অতি পরিচিত মুখ এস.এম কামরুল বাহার। বাংলাদেশ টেলিভিশনের প্রথম সারির চ্যানেল গুলির ধারাবাহিকে প্রধান চরিত্রে অভিনয় করে সুনাম অর্জন করে চলেছেন। স্কুলে পড়ার সময় তাঁর গানের প্রতি ঝোঁক ছিল। যেকোনো গান তিনি শুনে শুনে মাধুর্য মাখানো সুরেলা কন্ঠে গাই বার দক্ষতা ছিল। কিন্তু তাঁর পিতা শেখ বাদশাহ মিয়া ছেলে গান গাইবে, গায়ক হবে তা তিনি পছন্দ করতেন না। সেই কারণেই তাঁর গ্রাম কালিয়া উপজেলার নারীগাতী থানার দক্ষিণ যোগানিয়া থেকে তাঁকে পিতার কর্মস্থল খুলনার খালিশপুর প্লাটিন নাম স্কুলে ১৯৮১ সালে তাঁকে ভর্তি করে দেন। খুব স্বাভাবিকভাবেই গায়ক ও নায়ক হবার সুপ্ত প্রতিভা গুলি কামরুল বাহারের কোন প্রতিবন্ধকতা ধোপে টেকেনি। এই প্লাটিনাম স্কুলেই তাঁর প্রথম মঞ্চ নাটক রক্তিম বাংলা তে অভিনয় করে তাঁর নাট্য ব্যক্তিত্বের সুখ্যাতি ছড়িয়ে পড়ল। আশির দশক থেকেই ঢাকা থিয়েটারের অঙ্গসংগঠক গ্রাম থিয়েটারে যুক্ত হন। সুদীর্ঘ ২৫ বছর ধরে মঞ্চনাটকে অভিনয় করার পর ১৯৯৬ সাল থেকে বাংলাদেশ টেলিভিশনে চুটিয়ে অভিনয় করে চলেছেন। ঢাকা থেকে এক সাক্ষাৎকারে কামরুল বাহার বলেন, ভারতে অভিনয় করার প্রতি তাঁর অপার বাসনা আছে। এ ব্যাপারে ইতিমধ্যেই অনেক চলচ্চিত্র পরিচালকের সঙ্গে তাঁর কথাও হয়েছে। কামরুল বাহার এর কাছে এই প্রতিবেদকের প্রশ্ন ছিল: অবক্ষয়ী সমাজ ব্যবস্থায় একজন চরিত্রাভিনেতা কোন যাদুতে ভালো মানুষের পরিচয় বহন করতে পারেন ? তার উত্তরে কামরুল বাহার বলেন, ধর্মীয় অনুশাসন মেনে চললে ভালো মানুষ হওয়া যায়। তিনি শতভাগ ধর্মীয় অনুশাসন মেনে চলেন বলে দাবী করেন। উল্লেখ্য, বাংলাদেশের বৈশাখী টিভিতে :চাঁপা বাজ, মাছরাঙা টিভিতে : একশো তে একশো, একুশে টিভিতে : নাটাই ঘুড়ি, চ্যানেল আইতে : ডিগবাজি, এটিএন এ : রংবেরঙের মানুষেরা, বাংলাভিশনে : নাটক : হৈ চৈ ডটকম ও রং তামাশার খেলা দীপ্ত টিভিতে প্রচারিত হচ্ছে ধারাবাহিক নাটক মান অভিমান, নাগরিক টিভিতে : বউ বিরোধ। সমস্ত জায়গায় কামরুল বাহার প্রধান চরিত্রে অভিনয় করে জনপ্রিয় তার তুঙ্গে পৌঁছেছেন।