|
---|
নতুন গতি নিউজ ডেস্ক : করোনা বিধি মেনে দেহগুলির শেষকৃত্যের জন্য বেঙ্গালুরু শহরের শ্মশানগুলিতে করোনা আক্রান্ত মৃতদেহের চাপ অসম্ভব রকমের বেড়ে গিয়েছে। এর জন্য শ্মশানে দীর্ঘক্ষণ ধরে কোভিড দেহ বহনকারী গাড়িগুলিকে অপেক্ষা করতে হচ্ছে। দেশের অন্যান্য রাজ্যের মতো বেঙ্গালুরুতেও কোভিডে মৃতের সংখ্যা ওনেকটাই বাড়ছে।
বর্তমানে ১২টি বৈদ্যুতিন চুল্লির মধ্যে পাঁচটি চুল্লি রয়েছে লক্ষ্মীপুরা ক্রস, সুমনাহাল্লি, কেঙ্গেরি, বোমান্নাহালি ও পানাত্তুরে, এই শ্মশানগুলি কোভিড দেহ দাহ করার জন্য উৎসর্গ করা হয়েছে। আম্বেদকর দলিত সমিতির সাধারণ সম্পাদক রাজু কালপাল্লি বলেন, প্রতিদিন এইসব শ্মশানগুলিতে দিনে গড়ে ২০টির বেশি দেহ আসছে।
প্রত্যেক দেহ দাহ করতে একঘণ্টা করে সময় লাগছে। এই সংগঠনের সভাপতি এ সুরেশ বলেন, প্রত্যেক ইউনিটে ২টি করে মেশিন রয়েছে দেহ পোনানোর জন্য কিন্তু পানাত্তুরে একটি মেশিন সারানোর জন্য বন্ধ রাখা হয়েছে। কেঙ্গরি ইউনিট গত ২দিন ধরে দেহ দাহ করার কাজ শুরু করেছে। এইসব কারণের জন্যই, কোভিড আক্রান্তদের পরিবারকে দীর্ঘক্ষণ অপেক্ষা করতে হচ্ছে।
কালপাল্লি জানিয়েছেন যে প্রত্যেক কোভিড দেহ দাহ করার পর শ্মশানের কর্মীদের পিপিই কিট বদল করতে হচ্ছে। তিনি বলেন, ‘’পর্যাপ্ত পরিমাণে পিপিই কিটের সরবরাহ নেই এবং আমরা বাধ্য হচ্ছি কর্মীদের একই পিপিই কিট পরিয়ে ২ থেকে তিনটে দেহ দাহ করার জন্য।’’
অন্য কর্মীও জানান যে গ্লাভস, স্যানিটাইজার ও মাস্কের মতো জরুরি জিনিসের সরবরাহও সঠিক সময়ে হচ্ছে না। যদিও বিবিএমপি কর্মীদের প্রতিশ্রুতি দিয়েছেন যে কোভিড দেহ পোড়ানোর জন্য ৫০০ টাকা করে দেওয়া হবে। যদিও রাজু বলেন, ‘’একটা সময়ে এই কর্মীরা প্রত্যেক দাহকার্যের জন্য ১০০০ টাকা করে ব্যয় করেন এবং তা ফেরতও দেওয়া হয় না।’’
বিবিএমপি সূত্রের খবর, শ্মশানগুলিতে আচমকা এত ভিড় হওয়ার কারণ শহরে বাড়তে থাকা কোভিড মৃত্যুকে দায়ি করা হয়। প্রায় সাড়ে পাঁচ মাস পর এই শহরে একদিনে ৬৭ জনের মৃত্যু হয়েছে, যা সর্বোচ্চ বলে জানানো হয়। প্রসঙ্গত, কর্নাটকে গত বছরের ২০ অক্টোবর ৬৬ জনের মৃত্যু হয়েছিল একদিনে। যা সেই রেকর্ডকেও ছাপিয়ে গেল।