বৃষ্টির জল আটকাতে তার উপর তালপাতার ছাউনি দেওয়া হয়েছে অঙ্গনওয়াড়ি কেন্দ্রে

নিজস্ব প্রতিবেদক:-পুরনো অঙ্গনওয়াড়ি কেন্দ্র ভেঙে পড়ে রয়েছে। সেটি ব্যবহার করা যাচ্ছে না। অন্যদিকে নতুন অঙ্গনওয়াড়ি কেন্দ্রও তৈরি। কিন্তু নানা সমস্যার কারণে সেটিও ব্যবহার করা যাচ্ছে না। যার ফলে কার্যত মুখ থুবড়ে পড়েছে অঙ্গনওয়াড়ি কেন্দ্রের কাজ। এমনই ছবি পূর্ব বর্ধমানের (Purba Bardhaman) আউশগ্রাম ১ নম্বর ব্লকের দিগনগরের লক্ষ্মীগঞ্জে। পুরনো অঙ্গনওয়াড়ি কেন্দ্রটি ভেঙেচুরে পড়ে থাকায় সেখানে সন্তানদের পাঠাতে চাইছেন না অভিভাবকরা।   পুরনো কেন্দ্রটির টিনের চাল ভগ্নদশায় রয়েছে। বৃষ্টির জল আটকাতে তার উপর তালপাতার ছাউনি দেওয়া হয়েছে। তারপরেও বৃষ্টির জল চুঁইয়ে পড়ে ভিতরে। পুরনো অঙ্গনওয়াড়ি ভবনের বারান্দায় টিনের চাল খসে পড়ছে। ভিতরের ঘরে ছাদ থেকে চাঙড় খসে পড়ছে। ভিতর থেকে লোহার রড বেরিয়ে এসেছে। এমন অবস্থায় সেখানে শিশুদের পাঠানো অত্যন্ত বিপজ্জনক বলেই মনে করছেন স্থানীয় অভিভাবকরা।যদিও নতুন অঙ্গনওয়াড়ি ভবনও তৈরি। কিছুটা দূরেই রয়েছে সেটা। কিন্তু আর্থিক জটিলতার কারণে সেটা ব্যবহার করা যাচ্ছে না। আউশগ্রাম ১ নম্বর ব্লকের লক্ষ্মীগঞ্জের বাসিন্দা আনন্দ মাহাতো বলেন, ‘আমাদের বাচ্চা ছেলেদের খাবার নিতে আসতে দিই না, ঠিক মতো ব্যবস্থা নেই। পঞ্চায়েত থেকে সবাইকে জানিয়েছি, কোনও কাজ হয়নি।প্রসূতি, মা ও তাঁদের সন্তানদের নিয়ে মোট ৬৫ জনের রান্না হওয়ার কথা এই অঙ্গনওয়াড়ি কেন্দ্রে। কিন্তু, ভাঙাচোরা ছাদ, মাথার ওপর ভেঙে পড়ার আশঙ্কায় ভয়ে অনেকেই সেখানে যান না। ওই অঙ্গনওয়াড়ি কেন্দ্রের সহায়িকা সরস্বতী ঘোষ বলেন, ‘বৃষ্টিতে চাল, ডাল ভিজে যায়। ছাদ ভেঙে যায়। জলে উনুন ভেসে যায়। তাই তখন রান্না করা যায় না। বসার জায়গা নাই। ২-৩ বছর ধরে এই অবস্থায় চলছে। বৃষ্টিতে শিশুদের পাঠাতে চান না অভিভাবকরা।সামনেই অঙ্গনওয়াড়ি কেন্দ্রের নতুন ভবন তৈরি হয়ে পড়ে আছে। তা সত্বেও ব্যবহার করা যাচ্ছে না কেন? আউশগ্রাম ১ নম্বর ব্লকের লক্ষ্মীগঞ্জ অঙ্গনওয়াড়ি কেন্দ্রের শিক্ষিকা লীলা ঘোষ বলেন, ‘নতুন বিল্ডিং হয়ে গেছে। টাকা পায়নি বলে কন্ট্রাকটর দিতে চাইছে না।’খুব দ্রুত অঙ্গনওয়াড়ি কেন্দ্র স্থানান্তরিত হবে নতুন ভবনে, আশ্বাস আউশগ্রাম ১ নম্বর ব্লকের বিডিও অরিন্দম মুখোপাধ্যায়ের।