সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতির অনন্য নজির পূর্ব বর্ধমান জেলায়

নিজস্ব প্রতিবেদক:- সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতির অনন্য নজির পূর্ব বর্ধমান জেলায়। একই জায়গায় রয়েছে কালী, শিব মন্দির আর তার পাশেই রয়েছে মাজার। শুধুই মন্দির ও মাজার রয়েছে তাই নয়। উপাসনাও করা হচ্ছে এই স্থানে। ১৯ নম্বর ওয়ার্ড এবং ২০ নম্বর ওয়ার্ড সংলগ্ন ময়ূর মহল এলাকায় দীর্ঘ ২০০ বছর ধরে পুজো হয়ে আসছে রক্ষা কালী পুজো ও শিব পুজো। রক্ষা কালী পুজো হলেও এই একই দিনে এখানে পুজো হয় মাজারেও। আর যে পুরোহিত পুজো করেন মা কালীর শিবের সেই একই পুরোহিত মাজারেও করেন পুজো। অর্থাৎ হিন্দুরা সমস্ত উদ্যোগ নিয়ে পুজো করে থাকেন বলে জানা গিয়েছে। একরাত্রি ব্যাপী হয় এই পুজো। একই চাতালে দুটি মন্দির ও একটি মাজার। একদিকে যেমন মাজারের বেদি রয়েছে, অন্যদিকে শিবমন্দির ও রক্ষা কালী মায়ের মন্দিরও রয়েছে। ঐতিহ্য মেনে এই তিনটে পুজোয় খুব সুন্দর ভাবে পালিত হয় এলাকায়। মূলত পালকি করে গোটা পাড়া ঘোরানো হয় কালীর মূর্তিকে। এরপর মন্দিরে হয় মা কালীর পুজো। এই পুজো উপলক্ষে মেতে ওঠেন সকলেই। পাড়ার মানুষ যে যেখানেই থাকুক এই একটা দিন সকলেই উপস্থিত থাকেন সকলেই। সারারাত চলে পুজো। পরদিন বিতরণ করা হয় ভোগ। কথিত আছে, এই রক্ষা কালী মায়ের কাছে যা মানত করা হয় তাই পূরণ হয়। তাই শুধু এই এলাকার মানুষ নয়। আশপাশের অন্যান্য এলাকার মানুষও আসেন পুজো দিতে। এলাকার বাসিন্দারা বলেন, প্রতি বছরই চৈত্র মাসের শেষে এই পুজো হয়। একই জায়গা কালী, শিব মূর্তির পাশাপাশি রয়েছে পীর বাবার মূর্তি। সব ধর্মের মানুষ এখানে এসে যেমন রক্ষা কালী ও শিব পুজো করেন তেমনই মাজারেও দোয়া চান। স্থানীয় বাসিন্দা সৌরভ দাস বলেন, হিন্দু মুসলমান বলে এই এলাকায় কোনো ভেদাভেদ নেই। তারই প্রতীক হিসেবে একই জায়গায় কালী, শিব এর পাশাপাশি রয়েছে মাজারও। হিন্দুরা যেমন মাজারে যায় তেমন মুসলম ভাই বোনেরাও কালি মন্দিরে আসেন। আর এক স্থানীয় বাসিন্দা মহম্মদ শেখ বলেন, পাড়ায় হিন্দু ভাইয়ের যেমন তাঁদের মাজারে যান তেমনই তাঁরও কালী মন্দিরে ও শিব মন্দিরে পুজো করতে যান। পাড়ার সকলেই একই সঙ্গে মিলেমিশে পুজোর আয়োজন করে থাকেন।