এলোপাথাড়ি ছুরির আঘাতে খুন যুবক

বাবলু হাসান লস্কর, জয়নগর, দক্ষিণ চব্বিশ পরগনা : সকালে স্ত্রীকে বাপের বাড়ি ছেড়ে দিয়ে আসার পথে খুন হতে হলো স্বামীকে।সোমবার সকালে স্বামী ও স্ত্রী দুই জনে জয়নগর মজিলপুরের উওর দূর্গাপুরের বাড়ি থেকে স্ত্রীকে বাপের বাড়ি ছেড়ে দিয়ে কর্মস্থল দিল্লির উদ্দেশ্যে রহনা দেয় হজরত গাজী। তড়িঘড়ি জয়নগর স্টেশনে ট্রেন ধরার তাড়ায় জোর কদমে পথ চলতে থাকে, এমত সময়ে বাড়ি থেকে কয়েক শত মিটার আসার পথে শহিদুল গাজী/মিস্ত্রি তার পথ আটকায়। দুই জনের মধ্যে বাদানুবাদ চলার সময়ে নিজের কাছে থাকা ছুরি দিয়ে এলো পাতারি ছুরিকাঘাত করতে থাকে হজরত গাজীকে, শহিদুল গাজী। ছুরির আঘাতে হজরত গাজী রক্তাক্ত অবস্থায় চিৎকার করতে থাকে। তারই চিৎকারে স্থানীয়রা ছুটে আসলে, পালিয়ে যায় শহিদুল গাজী এবং জয়নগর থানায় আত্মসমর্পণ করে। রক্তাক্ত অবস্থায় সেখানে পড়ে থাকে হযরত গাজীর দেহ। খবর পাওয়ার সাথে সাথে ঘটনাস্থলে আসে জয়নগর থানায় পুলিশ রক্তাক্ত অবস্থায় থাকা দেহটি তুলে নিয়ে স্থানীয় পদ্মের হাট গ্রামীণ হাসপাতালে নিয়ে গেলে ডাক্তার বাবু মৃত ঘোষণা করে। দেহটি ময়না তদন্তের জন্য পাঠানোর ব্যবস্থা করছে তারা। বেশ কিছুদিন যাবত জয়নগরের বাসিন্দা গাজী দম্পতি দিল্লিতে বসবাস করছিল। দুর্গাপূজার ছুটিতে নিজের বাড়িতে আসে। পূজার ছুটি কাটিয়ে কর্মস্থলে যোগ দেওয়ার উদ্দেশ্যে বার হয়। তাতে কাল হলো। জয়নগর পেট্রোল পাম্প সংলগ্ন এলাকায় তাদের পূর্ব পরিচিত ব্যক্তি খুন করল। ঘাতক শহিদুল গাজী জয়নগর, গঞ্জের মোড় এলাকায় তার আছে একটি শোকেস আলমারির কারখানা। পূর্ব পরিচিত হযরতের স্ত্রীর সঙ্গে তার যোগাযোগ ছিল এমনই স্থানীয়দের উক্তি। বেশ কয়েকবার হযরত গাজী, শহিদুলকে নিষেধ করেছিল তার সঙ্গে সম্পর্ক না রাখতে আর তাতেই কাল হলো, দিতে হলো নিজের জীবন। দিনের বেলায় এমনই হত্যা লীলা প্রশ্ন চিহ্ন তুলতে শুরু করেছে স্থানীয় বাসিন্দারা। ইতিপূর্বে এই এলাকায় জয়নগর বিধানসভার বিধায়ক বিশ্বনাথ দাসের গাড়ি উপরে দুষ্কৃতীদের হামলায় প্রাণ যায় এক ব্যক্তির।