|
---|
আবু সালেহ মুসা, বারাসাত: গতকাল আসামের গুয়াহাটী চারিয়াল বাজার থেকে ফেরার পথে উগ্র সাম্প্রদায়িক জঙ্গী গোষ্টীর হাতে আক্রমনের শিকার ৬৮ বছরের বৃদ্ধ সওকত আলি । তিনি দীর্ঘ ৪০ বছর ব্যবসা করছেন চারিয়াল বাজার সংলগ্ন এলাকায় যখন তিনি ফিরছিলেন সেই সময় কিছু উগ্র সাম্প্রদায়িক জঙ্গি গরুর মাংস বিক্রির লাইসেন্স দেখাতে বলে এবং বাজার মহল্লার ম্যানেজারের অনুমতি সহ নাগরিক পঞ্জিকরন তালিকায় নাম আছে কিনা জানতে চাই তখন সওকত সমস্ত প্রশ্নের উত্তর দিলেও কর্দমাক্ত রাস্তায় হাটু গেড়ে বসিয়ে রেখে জোরপূর্বক শুকরের মাংস খাওয়াই কিন্তু তাঁকে কেউ সাহায্য করতে আসেনি সকলেই আনন্দ উপভোগ করে। নৃশংসভাবে তাঁর উপর অত্যাচার করা হয় এখন তিনি হাসপাতালে চিকিৎসাধীন ।
উক্ত ঘটনার তীব্র ভাষায় নিন্দা করেন ফুরফুরা শরীফ আহলে সু্ন্নাতুল জামাতের কর্নধার পীরজাদা আব্বাস সিদ্দিকী এবং তিনি বলেন ভারতীয় গনতন্ত্রের আজ কালোদিন । সংবিধান আমাদের অধিকার কে সুরক্ষিত করার গ্যারান্টি দিয়েছে এবং সমস্ত ধর্মের বর্নের মানুষের ধর্মচর্চা থেকে শুরু করে গনতান্ত্রিক অধিকার স্বাধীনভাবে পালন করার অনুমতি দিয়েছে অথচ সেই স্বাধীন রাষ্ট্রে মানুষের গনতান্ত্রিক অধিকার কেড়ে নেওয়ার চক্রান্ত করছে সাম্প্রদায়িক বিভাজনকামী শক্তি।
আমরা জানি যে আসাম রাজ্যে গোমাংস নিষিদ্ধ নই এবং আসামে শুধু মুসলিমরাই গোমাংস খাইনা ১০টি জনগোষ্টী ভিন্ন ধর্মের গোমাংস খাই তাহলে কেন বেছে , বেছে মুসলিমদের উপর টার্গেট করা হচ্ছে ?
যদি আইন থাকে গোমাংস খেতে পারবে তাহলে সেই আইনকে যারা অমান্য করবে এবং মানুষের সাংবিধানিক অধিকারে হস্তক্ষেপ করবে তাঁদের বিরুদ্ধে রাষ্ট্রদ্রোহিতা মুলক অপরাধে কঠোর ও দৃষ্টািতমূলক শাস্তি দিতে হবে ।
তিনি রাজ্যের বিজেপি সরকারের বিরুদ্ধে সমালোচনা করে বলেন পক্ষপাতদূষ্ট হয়ে আসামের মুসলিমদের উপর সরকারের মদতপূষ্ট জঙ্গীরা আক্রমন করে রাজ্যে অস্থিরতা সৃষ্টি করতে চাইছে ।
সর্বশেষে পীরজাদা আব্বাস সিদ্দিকী কেন্দ্র ও রাজ্য সরকারের নিকট আবেদন করেন যে উক্ত সওকত আলির উপর আক্রমন কারীদের বিরুদ্ধে এমন কঠোর শাস্তি ঘোষনা করা হোক যেন, আগামীতে আরও কোন আখলাখ, পেহেলু খাঁন ও আফরাজুলের মত ঘটনা না ঘটে ।
ফুরফুরা শরিফ আহলে সুন্নাতুল জামাত(এ) সর্বদা দেশের সংবিধানকে সম্মান করতে শেখায় এবং সংবিধান বিরোধী সাম্প্রদায়িক শক্তির কঠোর ভাবে বিরোধিতা করে।